ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’ দিয়ে কলকাতায় নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। সেই জনপ্রিয়তার পালে সাম্প্রতিক ‘হাওয়া’ অন্যমাত্রা দিয়েছে পুরো পশ্চিমবঙ্গে। আর তাই সৃজিতের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছেন অভিনেতা। সৃজিতের পরিচালনায় ‘পদাতিক’ ওয়েব সিরিজে পর্দার ‘মৃণাল সেন’ হবেন বাংলাদেশের চঞ্চল!

২০১০ সালে গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ দিয়ে সর্বপ্রথম কলকাতার দর্শকের সামনে হাজির হন চঞ্চল। বর্তমানে ‘কারাগার’ এবং ‘হাওয়া’র সুবাদে টলিউডের অন্দরেও তার চাহিদা আকাশছোঁয়া। এবার সৃজিতের মৃণাল সেন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।

এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে চঞ্চল চৌধুরী জানিয়েছেন, “সৃজিত আমাকে অনুরোধ জানিয়েছেন তার ‘পদাতিক’-এ অভিনয়ের জন্য। যাকে ঘিরে এই সিরিজ, সেই কিংবদন্তি পরিচালক ‘মৃণাল সেন’-এর চরিত্রে অভিনয়ের জন্যই আমায় বেছেছেন। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।”

অভিনেতার সাফ কথা, নিখুঁত ‘মৃণাল সেন’ হয়ে উঠতে পারলেই এই প্রোজেক্টের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলবেন তিনি, অন্যথায় নয়। জোর করে কোনো কিছুই করতে চান না তিনি।

আগামী বছর মৃণাল সেনের জন্ম শতবার্ষিকী। তাকে ঘিরে তিনটি প্রোজেক্টের কাজ চলছে টলিউডে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং অঞ্জন দত্তও শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছেন মৃণাল সেনকে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের আসন্ন সিনেমা ‘পালান’-এর গল্প তৈরি হয়েছে মৃণাল সেনের ‘খারিজ’ ছবির চরিত্রদের ৪০ বছর এগিয়ে দিয়ে। আর অঞ্জন দত্ত তৈরি করছেন একটি পার্সোনাল ফিচার ফিল্ম। মৃণাল সেন ও নিজের ব্যক্তিগত কথোপকথোনের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে এই ছবি।

চলতি বছর তার জন্মবার্ষিকীতে ‘পদাতিক’-এর পোস্টার ভাগ করে নিয়ে সৃজিত লিখেছিলেন, ‘সেই লকডাউনের সময় থেকেই আজকের দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে সেই দিনটা এলো। সিনেমা বিশ্বের বিশ্ববরেণ্য পরিচালকের জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতি আমার বিশেষ শ্রদ্ধা।’

মৃণাল সেন-পুত্র কুণাল সেন জানিয়েছেন, মৃণাল সেনের ‘জীবনের ওপর নির্ভর করা এক কাল্পনিক বায়োপিক-পদাতিক’। ঘোষণার পর থেকেই এই সিরিজ ঘিরে উন্মাদনার পারদ ছিল তুঙ্গে। ‘কলকাতা ট্রিলজি’র স্রষ্টার ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীকে দেখতে আগ্রহী কলকাতার দর্শক।

কেএইচটি/আরআইজে