অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করে: সারিকা
এক সময় তিনি মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনের নানা চড়াই-উতরাই পেরুতে গিয়ে সেই সাফল্যে ভাটা পড়ে। সবশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। তবে সেখানেও ভালো নেই অভিনেত্রী।
যৌতুক দাবি ও মারধরের অভিযোগে গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে স্বামী জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সারিকা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি আমলে নিয়ে বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিজ্ঞাপন
সারিকা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি সংসার জীবন নিয়ে অতিষ্ঠ। সে (রাহী) আমাকে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক- সব দিকেই টর্চার করেছে। একজন নারী কখন ঘরের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আনে-এটা সবাইকে বুঝতে হবে। বিষয়টি পারিবারিকভাবে বেশ কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। দিনকে দিন আরও খারাপের দিকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে বিচার চেয়ে আদালতে গিয়েছি।’
সারিকার আরও জানান, ‘আমাদের বিয়ের সময় ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, আসবাবসহ সাংসারিক জিনিসপত্র দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই সে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। আমার পরিবার থেকে তার জন্য টাকা আনতে বলে। আমি রাজি হইনি বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে, মারধর করে। এই মারধরের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছিল, যার ফলে মামলা করতে বাধ্য হই।’ জানা গেছে, সংসারজীবনে অতিষ্ঠ সারিকা বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মডেলিং দিয়ে শোবিজে কাজ শুরু করেন সারিকা। তারপর একটি মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাতারাতি তারকা বনে যান। ২০১০ সালে নির্মাতা আশুতোষ সুজনের ‘ক্যামেলিয়া’ নাটকের মাধ্যমে শুরু করেন অভিনয় ক্যারিয়ার।
রাহীর সঙ্গে এটি সারিকার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০১৪ সালে মাহিম করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন সারিকা। তবে ২০১৬ সালে দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়। সেহরিশ আনায়া নামে তাদের এক কন্যাও রয়েছে।