সোমবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঐন্দ্রিলার বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী অভিনেত্রীর জন্য ‘মিরাকল’ প্রার্থনা করে পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সব্যসাচীর ওই পোস্টের পর টলিউডের বিভিন্ন সেলিব্রিটি সহ আপামর সাধারণ মানুষ প্রিয় অভিনেত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনায় ‘মিরাকল’ প্রার্থনা করে একের পর এক পোস্ট করছেন। সম্প্রতি এই বিষয়টাকে ইঙ্গিত করে টলিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর পোস্ট নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন।

ঋত্বিক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অনেককেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যার কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো?’ এর জবাবে বিদিপ্তা চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘আমার কাছে প্রার্থনার সমার্থক মন থেকে চাওয়া। বেশি বেশি করে মন থেকে চাওয়া।’ বামমনস্ক অভিনেত্রী জুন আন্টি উষসী লিখেছেন, ‘এটা আমারও প্রশ্ন’। অপর কমেন্টে লিখলেন, ‘তাকে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে চাই।’

একজনের মন্তব্য, ‘চোর, ডাকাত, ধর্ষক, মিথ্যাবাদী, প্রবঞ্চক, শিক্ষক, ছাত্র, নেতামন্ত্রী, শিল্পী, ব্লগার- সবাই যদি বেশে বা ছদ্মবেশে ফেসবুকেই ঘুরে বেড়ান তাহলে তিনি কেন নন?’ অন্যজন লিখলেন, ‘আমরা তো ছবি কিংবা মাটির মূর্তির সামনে ভোগ প্রসাদ রেখে প্রার্থনা করি... ছবি কিংবা মাটির মূর্তি খায় কী, শুনতে পায় কী... সবাই তো আর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নন। তবুও করে থাকি, যে যেখানে, যেভাবে প্রার্থনা করুন না কেন কামনা শুধু এটাই প্রার্থনা যেন ওনার কাছে গিয়ে পৌঁছায়। ব্যাপারটা এটাই।’

একজন আবার ঐন্দ্রিলার প্রসঙ্গ টেনে লিখলেন, ‘আমার ধারনা প্রার্থনা নিজেদের ইষ্ট দেবতার কাছেই করে থাকেন সবাই, শুধু যার উদ্দেশ্যে করা হয় তাকে অবগত করার জন্য হয়তো এই মাধ্যমকে বেছে নেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে যদি আমি এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা র কথা বলি আমরা সাধারণ মানুষরা সরাসরি তার কাছে গিয়ে প্রার্থনা করতে পারছি না তার জন্য, কিন্তু তার অগণিত ভক্ত তার জন্য যে প্রার্থনা করছেন সেই বার্তা হয়তো পৌঁছে যাচ্ছে তার কাছে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।’

কেএইচটি