আমার সংগীত ক্যারিয়ারের অন্যতম সাফল্য এটি: ইমরান
দুজনই একাধারে গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। বলছি সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও ইমরান মাহমুদুলের কথা। হাবিব দুই দশক ধরে সংগীতে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। অন্যদিকে গত এক দশক ধরে জনপ্রিয় সব গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন ইমরান। ব্যক্তি জীবনে দুই সময়ের এই দুই তারকার মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। তবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই হাবিবকে আদর্শ ও গুরু মানেন ইমরান।
ইমরানের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিলো নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে হাবিব ওয়াহিদকে দিয়ে একটি গান গাওয়ানোর। তার সেই স্বপ্ন এবার সত্যি হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইমরানের সুর ও সংগীতে একটি গানে কণ্ঠ দিলেন হাবিব ওয়াহিদ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইমরান। পোস্টের সঙ্গে গানটির রেকর্ডিংয়ে দুটি ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে গানটির রেকর্ডিংয়ে হাস্যোজ্জল ফ্রেম বন্দি হয়েছেন গুরু-শিষ্য।
নিজের সুর ও সংগীতে হাবিবকে দিয়ে গান করাতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত ইমরান। বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমার সুর-সংগীতে গান গাইলেন হাবিব ওয়াহিদ (আমার বস)। মনে হচ্ছে স্বপ্ন। যার সুর এবং মিউজিক শুনে মিউজিক করার আগ্রহ এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছি সেই মানুষটির জন্য আজ গান করতে পারা আমার জন্য সত্যি অনেক সৌভাগ্যের। আমার ১৪ বছরের মিউজিক ক্যারিয়ারের অন্যতম সাফল্য এটি।’
ইমরানের ভাষ্যে, ‘মনে হচ্ছে মিউজিক করা সার্থক হলো এত দিনে। বস যে আমার ওপর আস্থা রেখেছেন এতেই আমি ধন্য। একজন হাবিব ওয়াহিদ আমার জন্য অনেক বিশাল কিছু। ২০১০ এর দিকে আমি সেই যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়া থেকে, বসের জিঙ্গেল গাওয়ার জন্য, বসকে কাছ থেকে দেখার জন্য, তার কাছ থেকে একটুখানি শেখার জন্য ছুটে যেতাম তার স্টুডিওতে।’
একসঙ্গে ডাবল জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়ক আরও যোগ করেন, ‘আজ ১২ বছর পর তার জন্য সুর ও সংগীত করতে পেরেছি এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে, আমি আবেগে আপ্লুত তাই ভাষা হারিয়ে ফেলছি আনন্দে। শুধু এটুকু বলতে চাই, এই গানটি আমার জন্য শুধু একটি গান না, আমার জন্য অনেক বড় আবেগ এটা। গানটি কেমন করতে পেরেছি আমি জানি না, তবে আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি।’
জানা গেছে গানটির কথা লিখেছেন কলকাতার এক গীতিকার। শিগগিরই এটি প্রকাশ পাবে।
আরআইজে