অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন গত রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর)। এই কিংবদন্তিকে হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি তার পরিবার, বন্ধু-স্বজন, ভক্ত-শুভাকাঙক্ষীরা।

এই গুণী গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক স্মরণে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে হবে এই আয়োজন।

সভায় উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। এছাড়া সদ্যপ্রয়াত গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিবারের সদস্য ও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে এই কীর্তিমানকে স্মরণ করবেন।

গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত থাকবেন গীতিকবি সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিটন অধিকারী রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেল’সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চিত্রনাট্য রচনা করেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। ভূষিত হয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারসহ শতাধিক পুরস্কারে।

ছয় দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের তালিকায় তার লেখা গানই রয়েছে তিনটি-‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’।

তার লেখা আরও কিছু কালজয়ী গান হলো-‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’ প্রভৃতি।

আরআইজে