‘পরাণ’ সিনেমার গান-আবহসংগীতে আলোচনায় নিরব
সময়ের তরুণ সুরকার-সংগীত পরিচালকদের একজন জাহিদ নিরব। ২০১৫ সালে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার গানে হারমোনিয়াম বাজিয়ে ব্যান্ড ‘চিরকুট’ এর সঙ্গে পথচলা শুরু তার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ব্যান্ডের পাশাপাশি একক ক্যারিয়ার নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছেন।
প্রেক্ষাগৃহে চলমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা ‘পরাণ’-এর আবহসংগীত ও দুটি গানের সংগীত করে নিরব এখন বেশ আলোচনায়।
বিজ্ঞাপন
গান দুটির একটি হলো সিনেমাটির ‘বিয়ের গান’। জাহিদ নিরবের সুর-সংগীতায়াজনে গানটির কথা লিখেছেন রাসেল মাহমুদ। গেয়েছেন আয়েশা মৌসুমী। অন্যটি হলো প্রচলিত জনপ্রিয় গান ‘সাজিয়ে গুজিয়ে দে’র নতুন ভার্সন। নিরবের সংগীতায়োজনে যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন আরাফাতুল হাসান শান্ত। দুটি গানের জন্যই শ্রোতাদের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছেন নিরব। বিশেষ করে সিনেমার একাধিক দৃশ্যে ব্যবহৃত ‘সাজিয়ে গুজিয়ে দে’ গানে নিরবের মিউজিক দর্শক-শ্রোতাদের ব্যাপক মনে ধরেছে।
গান দুটির পাশাপাশি এই সিনেমায় নিরবের করা আবহসংগীতেও মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ‘পরাণ’ সিনেমার নানান আলোচনায় উঠে এসেছে নিরবের গান এবং আবহসংগীতে মুগ্ধতার কথা।
রায়হান রাফী পরিচালিত মিম-শরিফুল রাজ-ইয়াশ রোহান অভিনীত ‘পরাণ’ সিনেমায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে জাহিদ নিরবের আবহসংগীত। অনেকের মতে সিনেমাটি এত জনপ্রিয়তা পাওয়া পেছনে, দর্শকের ভালোলাগার পেছনে নিরবের করা আবহসংগীতও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
মাত্র গত বছরই ‘পদ্মপুরান’ সিনেমার মাধ্যমে এই অঙ্গনে অভিষেক নিরবের। আর দ্বিতীয় সিনেমার কাজ দিয়েই এমন আকাশচুম্বী সাফল্য পেলেন তিনি। যা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এই সুরকার-সংগীত পরিচালক।
ঢাকা পোস্টকে নিরব বলেন, “অনেকেই ফোন করছে। প্রশংসা করছে। আমার আত্মীয়স্বজন, ব্যান্ড মেম্বার, শুভাকাঙক্ষী সবাই বলছে খুব ভালো কাজ হয়েছে। ‘সাজিয়ে গুজিয়ে দে’ গানের জন্য বেশি ভালোবাসা পাচ্ছি। এই গানটায় একদিকে একজনের বিয়ের আনন্দ, অন্যদিকে আরেকজনের হারানোর কষ্ট দেখাতে হয়েছে। ফলে গানটির একটা স্যাড ভার্সনও করা হয়েছে। সিনেমার দৃশ্যয়নের সঙ্গে যা মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তুলছে। আমি নিজেও একাধিকবার হলে গিয়ে মানুষের এই আবেগ এবং ভালোবাসা দেখেছি। সিনেমার গানে ক্যারিয়ারের শুরুতেই এমন প্রাপ্তি আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যদি হলিউড-বলিউড দেখি আবহসংগীত একটা সিনেমাকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যায়। যাতে সিনেমাটি আলাদা গতি পায়। বাংলাদেশে থেকে নানান স্বল্পতার মধ্যেও চেষ্টা করেছি ভালো কাজ উপহার দিতে। ভবিষ্যতেও এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আরআইজে