প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, একমাত্র কন্যাকে নিয়ে আইনি লড়াই করতে গিয়ে শোবিজ থেকে অনেকটা ছিটকে পড়েছিলেন। দর্শকও তাকে প্রায় ভুলেই যাচ্ছিল।

এমন সময়ে হঠাৎ ঝড়ের বেগে আসলেন। বিখ্যাত কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা। আর সেটার মূল চরিত্র তিনি। সিনেমাটির নাম ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। তিনি আজমেরী হক বাঁধন।

এই এক সিনেমা দিয়েই সাফল্যের আকাশে উড়ছেন বাঁধন। ফ্রান্সের কান থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, কিংবা ভারতের কেরালা, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎসবে তার জয়জয়কার। সম্প্রতি নতুন আরেকটি অর্জন যুক্ত হয়েছে বাঁধনের ঝুলিতে। স্পেনের ‘ভ্যালেন্সিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-সিনেমা জোভ’-এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

উৎসবের পোস্টারের সঙ্গে বাঁধন 

ভ্যালেন্সিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার সুবাদে বাঁধন রয়েছেন স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহরে। উৎসব শেষ হলেও তিনি উপভোগ করছেন নয়নাভিরাম শহরটির সৌন্দর্য। কখনো সবুজে ঘেরা পার্কে, কখনো আবার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে সময় অতিবাহিত করছেন।

এসব মুহূর্ত আবার ক্যামেরাবন্দি করে নিচ্ছেন বাঁধন। সেই ছবিগুলো শেয়ার করছেন ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে। ভ্যালেন্সিয়ায় তোলা অধিকাংশ ছবিতেই বাঁধন ধরা দিচ্ছেন খোলামেলা রূপে। শরীরী আবেদন ফুটিয়ে তুলতে দ্বিধা করছেন না বিন্দুমাত্র।

সমুদ্র সৈকতে বাঁধন

বাঁধনের এমন খোলামেলা ছবিতে অনুসারীদের হরেক রকমের মন্তব্য। কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন। অভিনেত্রীর রূপ-গ্ল্যামারে মুগ্ধ হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ছুঁড়ে দিচ্ছেন নিন্দা।

সিলভিয়া রহমান নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমি বুঝিনা বিদেশের মাটিতে পা রাখলেই এসব ড্রেস না পরলেই নয়! আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য এরকম অশালীন ড্রেস পরাটা কি খুবই জরুরি?’

বায়েজিদ খান অভি নামের এক অনুসারী লিখেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে সৌন্দর্য। বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির গর্ব’।

সবুজ গাছ আর ফুলে ঘেরা পার্কে বাঁধন

শাকিল আহমেদ নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘অনেক সুন্দর হয়েছে তো ছবিগুলো’।

হাবিব খান নামের আরেক অনুসারী মন্তব্য করেছেন, ‘বুড়ি হয়ে মাথা আরও খারাপ হয়ে গেছে’।

এরকম শত শত মন্তব্যে ভরে আছে বাঁধনের পোস্টগুলো। তিনি অবশ্য কারো মন্তব্যেই ভ্রূক্ষেপ করছেন না। বরং নিজের মতো ভ্যালেন্সিয়া ভ্রমণ উপভোগ করছেন আর স্মৃতিগুলো সংরক্ষণ করে রাখছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কেআই/আরআইজে