সুস্থ সবল মানুষটা হঠাৎ চলে গেলেন। একটু আগেও সুর তুলে মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের। তারপর হঠাৎ খবর— তিনি আর নেই। ৩১ মে’র এ ঘটনা কেউ ভুলতে পারছেন না। মেনে নিতে পারছেন না বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নত ওরফে কেকে’র এমন মৃত্যু।

কেকে’র দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলেছে, গায়ক অনেক দিন ধরেই হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু তেমন ভাবে টের পাওয়া যায়নি। আগে আভাস দিলে হয়ত বাঁচানো যেত, এই ভেবেই আফসোস কত মানুষের।

সম্প্রতি আরেক জনপ্রিয় শিল্পী শান জানালেন, ঘরে ঘরে এখন এই দুশ্চিন্তা। তার দুই পুত্রসন্তান সোহম এবং শুভ মুখোপাধ্যায়ও ভয় পেয়ে গেছেন। তাই বাবাকে হার্টের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছেন।

সম্প্রতি শান এক সাক্ষাৎকারে বলন, ছেলেদের জোরাজুরির পরে বিশেষ করে এই কারণে এক দিনের জন্য মুম্বাই ফিরে আমি চেকআপ করাই। আমি বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ মানুষদের বলতে চাই, ঝুঁকি নেবেন না। দুই বছরে একবার করে মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে নিন।

শানের কথায়, বিপদ যে কোনো মুহূর্তে আসতে পারে। যিনি মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে পারফর্ম করছেন। আর যিনি দর্শকাসনে রয়েছেন, যে কারও ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য যেকোনো লাইভ কনসার্টে অ্যাম্বুলেন্স থাকা খুব জরুরি। আমরা কত কত শো করি, যেখানে মানুষ পদপিষ্ট হয়।

বাঙালি এ গায়ক জানান, যত পারিশ্রমিকই দেওয়া হোক না কেন, কেকে একটি মাসে আটটির বেশি লাইভ শো করতেন না। খুবই সাবধানী ছিলেন তিনি।

তবু শানের আক্ষেপ, যে এত সতর্ক ছিল, যে এত মেপে পা ফেলত, তার সঙ্গেই এমনটা হবে, কে জানত। অদ্ভুত।

এসএসএইচ