কেকের অনুষ্ঠানে প্রথম সঞ্চালনা। কিন্তু এই সঞ্চালনা না হলেই হয়তো ভালো হতো। কলকাতায় কেকের শেষ কনসার্টের দুই সঞ্চালক সুদীপ্ত ও শিল্পী দম্পতি এখন সেই আক্ষেপ করছেন। 

কেকের মৃত্যুটা এখনও কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না তারা। কেকের সঙ্গে কথা বলা, গল্প করা, আন্তরিকতা এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের। শিল্পী বলছেন, সারারাত আমরা ঘুমোতে পারিনি। সেই কণ্ঠস্বর…ঘুমোতে দিচ্ছে না। সেই মুহূর্তেই কেন এরকম হলো? এটা না হলেই তো হতো! আর সুদীপ্ত বলছেন, এই শোয়ে সঞ্চালনা না করতে পারলেই বোধহয় ভালো হতো। 

কনসার্ট চলতে চলতেই অসুস্থ বোধ করছিলেন কেকে, সেকথা জানিয়েছেন সুদীপ্ত হাজরা ও শিল্পী। অডিটোরিয়ামে এসি চললেও তা ঠিক মতো কাজ করছিল না বলে জানান শিল্পী। কেকের অসুস্থতার পেছনে এই অতিরিক্ত গরমও একটা কারণ বলে মনে করেন তিনি।   

শিল্পী বলেন, শো চলাকালীন উনি একবারও মঞ্চের বাইরে যাননি। এখন মঞ্চে যেরকম এলইডি আলো ব্যবহার হয়, সেটাতে খুব গরম হয়। আর হলে অতিরিক্তি লোকসংখ্যা হলে গরম হয়। উনি যেরকম হাইপ পারফর্ম করেন, সেটায় তো গরম আরও হবে। বারবার জল খাচ্ছিলেন। ঘাম মুচছিলেন।  
একইভাবে সুদীপ্ত বলেন, হলে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। এসি সেভাবে কাজ করছিল না। গান গাইতে-গাইতে বারবার ঘাম মুচছিলেন কে কে। কোথায় যেন অস্বস্তি হচ্ছিল তার। 

কিন্তু গরম, কষ্ট উপেক্ষা করেই কেকে একটানা প্রায় দু-ঘণ্টা পারফর্ম করে যান। 

গ্রিন রুমে কেকের সঙ্গে সময় কাটানোর স্মৃতিচারণা করে সুদীপ্ত বলেন, কেকের শোয়ে প্রথমবার যাই। সকাল থেকেই খুব উত্তেজনা ছিল। তবে উনি যে এত বড় মাপের শিল্পী, তা ওনার আচরণে বোঝা যায় না। ওনার কাছ থেকে দুটো জিনিস শিখলাম। কলকাতায় সাধারণত মঞ্চ খালি না হতেই মিউজিশিয়ানরা সেট প্রস্তুত করতে শুরু করেন। কিন্তু উনি বললেন, মঞ্চ যতক্ষণ না খালি হবে, সেট প্রস্তুত করা হবে না। তারপর মিউজিয়ান সেটের সকলকে দেখিয়ে উনি বলেন, এটা কেবল কেকের দল নয়। কেবল কেকে শিল্পী নয়। আমরা দলে যে ৬ জন আছি, ৬ জনই শিল্পী। 

এনএফ