গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মঞ্চে ওঠেন কেকে। একের পর এক গানে তিনি মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু হঠাৎই যেন সব বদলে গেল।  

সাড়ে ৮টার পর তিনি মঞ্চ ছাড়েন। ব্যাক স্টেজে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যান হোটেলে। তারপরই রাত ১০টার মধ্যে নেওয়া হয় হাসপাতালে, মৃত বলে ঘোষণা করা হয় শিল্পীকে। 

কেকে’র গতকালের কনসার্ট নিয়ে কলকাতা শহরে উত্তেজনা ছিল। কনসার্টের আগে লাইভে এসে মানুষের এ উত্তেজনা নিয়ে কথা বলেন সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। 

রূপঙ্কর বলেন, আজ শো করতে কেকে কলকাতায় এসেছিলেন। ওয়ান অ্যান্ড ওনলি কেকে। এই শো নিয়ে তুমুল উত্তেজনা। তার কনসার্টের কিছু লাইভ ভিডিও দেখছিলাম। তিনি ‘ওয়ান্ডারফুল’ গায়ক। কিন্তু, আমার মনে হল সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রকম ভিডিও আমার রয়েছে, সোমলতা, ইমন মনোময়, রাঘব, উজ্জ্বয়িনী, ক্যাকটাস, রূপমের রয়েছে। আমি গান শুনে যা বুঝলাম আমরা কেকে’র থেকে ভালো গান গাই। কেন আমাদের নিয়ে এত উত্তেজনা বোধ করেন না বলুন তো! 

তিনি আরও বলেন, কেকে কেকে কেকে, হু ইজ কেকে! আমরা যে কোনো কের থেকে ভালো গায়। আমি যে গায়কদের নাম নিলাম তারা কেকে’র চেয়ে অনেক ভালো। বম্বের শিল্পীদের নিয়ে কেন এত উত্তেজনা! ওডিশা, পাঞ্জাব, দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রির থেকে শিখুন। বাঙালি হোন ভাই, বোন, মাসি, পিসি, প্রেমিকা, প্রেমিক- বাঙালি হোন প্লিজ। 

তারপরই দুঃসংবাদ আসে যে মারা গেছেন কেকে।  আর তার পর পরই রূপঙ্কর বাগচীর ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন টলিপাড়ার শিল্পী থেকে পরিচালকরা। 

অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র নিজের ফেসবুকে লেখেন, শেম অন ইউ রূপঙ্কর বাগচী, আপনি নিজের মনের সংকীর্ণতাকে সরান। তারপর কেকে’র সঙ্গে তুলনা টানবেন নিজের, আপনার জাতীয় পুরস্কার পাওয়াটাই কাল, আগে বড় মনের মানুষ হন। বাংলার শিল্পী হিসেবে কতটা ছোট মনের পরিচয় দিলেন, আগে বড় মনের মানুষ হোন, আপনাকে ধিক্কার! কেকে তার গায়কী দিয়ে আমাদের মন জয় করেছেন। এভাবে তাকে ছোট করার অধিকার কেউ দেয়নি আপনাকে।  

এনএফ