ছবির কাজে ভারতের ইন্দোরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী কাম্যা পাঞ্জাবি। সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক বন্ধু সন্তোষ গুপ্ত। এ শহর তার জন্য নতুন। যা দেখছিলেন তাতেই বিভোর হয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। বিশেষ রাস্তার ধারের খাবার দোকানগুলো দেখে। কথায় কথায় সঙ্গের বন্ধুও বলেছিলেন, এখানকার এক দোকানের ফুচকা ও চাট বিখ্যাত। এ কথা শুনে কাজের ফাঁকে গাড়ি নিয়ে সোজা ফুচকার সন্ধানে নেমে পড়েন। 

ফুচকা বিক্রেতার হাত চলছিল ম্যাজিকের মতো। একটা ফুচকা মুখে দিতে না দিতেই চোখ বুজে আসে কাম্যার। সুস্বাদু ফুচকা কতগুলো যে খেয়ে ফেলেন, হিসেব নেই। জায়গাটাও এত পছন্দ হয়েছিল ততক্ষণে যে ফুচকা খেয়েই আশপাশের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। হাতের খামটা কোথায় রেখেছেন সে দিকে আর খেয়াল ছিল না। সেই খামে ছিল এক লাখ টাকা।

খাওয়া শেষে ছবি তুলে যখন হোটেলে ফিরেছেন, তখন কাম্যার মনে পড়ে খামটার কথা। পড়ে যান দুশ্চিন্তায়। আর কি পাবেন? আবার অত দূর যাওয়ার মানেই হয় না।

মুম্বাই সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলতে ইন্দোরের গল্প বলছিলেন অভিনেত্রী। রোববার (২৯ মে) এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু টাকা কি ফিরে পেয়েছিলেন?

অভিনেত্রী জানান, সন্তোষ বার বার করে বলায় শেষ দিকে ওই ফুচকার দোকানে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে যা দেখলেন, নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না। ঠিক যেখানে খামটা ফেলে গিয়েছিলেন, সেই টেবিলটার উপরেই পড়েছিল খামটা। কেউ স্পর্শও করেনি।

দোকানের মালিক দীনেশ গুজ্জরের সঙ্গে কথা বলে খামটি নিয়ে আসেন কাম্যা। অভিনেত্রীর কথায়, এত আশ্চর্য হইনি এর আগে। ধন্যবাদ দিলেও তাদের ছোট করা হয়। ইন্দোরের মানুষ এত ভালো এবং উদার আমি সে দিন জানলাম।

এসএসএইচ