কলকাতায় একের পর এক অভিনেত্রী আত্মহত্যা করছেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনজন অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৫ মে টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে, এরপর ২৫ মে মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদার এবং ২৭ মে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর মরদেহ।

কী কারণে পল্লবী-বিদিশারা আত্মহননের দিকে ঝুঁকছেন, তা নিয়ে কথা বললেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। তার মতে, তরুণ মডেল-অভিনেত্রীদের লাগামহীন উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর বিলাসিতাই এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী।

শুক্রবার (২৭ মে) নিজের নির্বাচনী এলাকা বসিরহাটে একটি রক্তদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন নুসরাত। সেখানেই তিনি সাম্প্রতিক রহস্যজনক মৃত্যুগুলোর বিষয়ে কথা বলেন।

নুসরাতের ভাষ্য, ‘অভিনেত্রীদের মৃত্যু রীতিমতো দুঃখজনক। এই রকম কাজ যেন কেউ না করেন, ভগবানের কাছে এই প্রার্থনা করি। ইদানীং একটি প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বিলাসিতা, শিখরে পৌঁছতে গিয়ে তা না পেয়ে মানসিক যন্ত্রণা। তার পর সেখান থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এটা খুবই দুঃখের। আর কেউ যেন এমনটা না করেন।’

বিনোদন জগতের ঝলমলে আলোতে এসেই অনেকে বেছে নেন বিলাসবহুল জীবন। সেই জীবন যাপনের জন্য কেউ কেউ অনৈতিক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু ব্যর্থ হলে নিমজ্জিত হন চরম হতাশায়। এর পাশাপাশি সম্পর্ক কেন্দ্রিক জটিলতা তো আছেই। এসব কারণেই তরুণ অভিনেত্রীরা আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মনে করছেন কলকাতার গুণী শিল্পী ও মনোবিদরা।

এদিকে সম্প্রতি নুসরাত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের হাড়োয়া বিধানসভা এলাকায়। শুক্রবার তিনি এ বিষয়েও মুখ খোলেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘লোকসভা কেন্দ্রে সাতটা বিধানসভা রয়েছে। প্রতিদিন কিছু না কিছু কাজ করতে হয়। কেউ যদি আমার ছবি লাগিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিক্রি করে লাভ পায়, তাতে আমার কী অসুবিধা! যারা নিখোঁজের পোস্টার দিয়েছিলেন, তারাই নিখোঁজ হয়ে বসে আছেন। তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’

কেআই