টলিউডের তরুণ অভিনেত্রী এনা সাহা। ছোটবেলা থেকেই শুরু করেছিলেন অভিনয়। বড় হওয়ার পর বেশ কয়েকটি সফল সিনেমায় কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে শুরু করেছেন প্রযোজনাও। অল্প বয়সেই তিনি নিজেকে নানাবিধ পরিচয়ে মেলে ধরছেন।

এনার বর্তমান অবস্থা দেখে অনুপ্রাণিত আরও অনেকে। কিন্তু তার ফেলে আসা দিনগুলো সহজ ছিল না। যখন অভিনয় শুরু করেছিলেন, তখন অনেকেই ভাবত তিনি খারাপ কাজ করেন। এজন্য তার সঙ্গে মিশতে চাইত না।

সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান অনুষ্ঠানে এসে এনা সাহা নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খুব ছোট থেকেই অভিনয়ে। অভিভাবকেরা বুঝতে পারতেন না, এটা আমার পেশা। ভাবতেন, খারাপ কোনও কাজ করছি। তাই তাদের মেয়েদের মিশতে দিতেন না আমার সঙ্গে।’

এ কারণে ছোটবেলায় এনার কোনো বন্ধু ছিল না। সে সময় একমাত্র পরিবারই তার পাশে ছিল। বিশেষ করে মায়ের শতভাগ সমর্থন পেয়েছিলেন অভিনেত্রী।

দিদি নাম্বার ওয়ানে এনার মা বনানী সাহা জানান, ছোটবেলা থেকে তার বড় মেয়ে নাচের অনুষ্ঠান করত। সেখান থেকেই ইন্ডাস্ট্রির নজরে আসে এনা। প্রযোজকরা বনানীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এনাকে অভিনয়ে আনার জন্য।

এনা সাহা

২০১১ সালে সিনেমায় কাজ শুরু করেছিলেন এনা। তবে পরিচিতি পান ২০১২ সালের ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিনেমায় অভিনয় করে। এরপর তার ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার ২’, ‘রাজকাহিনী’, ‘ভূত চতুর্দশী’, ‘এসওএস কলকাতা’র মতো জনপ্রিয় সিনেমাগুলো।

এনা জানান, একসময় তার কোনো বন্ধু না থাকলেও এখন অনেকেই তার বন্ধু হতে চান, প্রেমিক হতে চান। ভালোবাসা দিবসে নাকি তাকে একসঙ্গে ১৪ হাজার ছেলে ‘ভালোবাসি’ বলেছিল। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘যা হয়, তা ভালোর জন্যই হয়।’

সম্প্রতি এনা অভিনয় করেছেন ‘চিনে বাদাম’ নামের একটি সিনেমায়। এতে তার নায়ক যশ দাশগুপ্ত। সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন এনা। এছাড়া ‘মাস্টার মশাই আপনি কিছু দেখেননি’ নামে আরেকটি সিনেমাও প্রযোজনা করছেন অভিনেত্রী।

কেআই