সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে মিটিং ও নিপুণের ব্যাখা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের আসন নিয়ে নায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণের মধ্যকার আইনি লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এরমধ্যেই শনিবার (২৬ মার্চ) এফডিসির শিল্পী সমিতির অফিসে মিটিংয়ের বেশ কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক নায়ক সাইমন সাদিক।
ছবিগুলোর ক্যাপশনে সাইমন লেখেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিং।’ বিষয়টি নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কেউ বলছেন, আইনি সমাধান না হতেই নিপুণ কীভাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন? কেউ বা বলছেন অন্য কথা।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন নিপুণ। তার দাবি তিনি শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী বলেন, ‘একটা সংগঠন পড়ে থাকলে হবে না। আমি যেটা করছি, সেটা আপনি হলেও করতেন। আজ শিল্পী সমিতিতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, মিজু আহমেদ ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী, দিতি আপার মৃত্যুবার্ষিকী, সংগঠনের এসব কাজ করতে হবে না? শুধু দূর থেকে মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে কথা বললেই হবে?’
এ নায়িকা বলেন, ‘সামনে আসছে রোজা। বেশ কয়েকজনের নিয়মিত খাবার আয়োজন করতে হবে, কর্মচারীরা আছে। শিল্পীরা রয়েছে, যাদের দেখতে হবে। এভাবে সমিতি থামিয়ে রাখলে হবে? সমিতি চলছে আমি একজন শিল্পী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’
তার ভাষ্য, ‘আমি একজন শিল্পী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কোনও পদ ধারণ করে নয়। শিল্পী সমিতির কর্মচারীদের বেতন বাকি এটা কে দেবে? আমরাই সম্মিলিতভাবে দিচ্ছি। শুধু সমালোচনা করলে তো হবে না।’
এর আগে নিপুণের চেয়ার বসা নিয়ে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘যেখানে আদালত স্থিতাবস্থা দিয়েছে। সেখানে কিভাবে উনি বারবার চেয়ারে বসেন? আদালত অবমাননা মামলা হয়েছে তারপরেও তিনি একের পর এক আদালত অবমাননা করে যাচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে গত ২ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর শপথ নিয়ে চেয়ারেও বসেছিলেন তিনি। তবে গত ৬ মার্চ শুনানি শেষে জায়েদ খানকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আগামী চার সপ্তাহ এ পদে স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একক বেঞ্চ।
আরআইজে