অভিষেকের মৃত্যু, বিশ্বাস করতে পারছেন না ঋতুপর্ণা!
টলিউডের বরেণ্য অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে ভারতের কলকাতায় প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে নিজ বাড়িতে প্রয়াত হন তিনি। আচমকা তার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে জুটি হয়েছিলেন অভিষেক। তাই তার প্রয়াণে ঋতু একটু বেশিই মুষড়ে পড়েছেন। বিশ্বাস করতে পারছেন না, অভিষেক সত্যিই চলে গেছেন!
বিজ্ঞাপন
কলকাতার একটি গণমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘সকালে উঠে খবরটা পেলাম। কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম খবরটা সত্যি কিনা। মনে হয়েছিল, যে খবরটা সত্যি নয়। কারণ, এরকম একটা খবর সত্যি হওয়াও ঠিক নয়।’
অভিষেকের সম্পর্কে বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে ঋতুপর্ণার। কষ্ট চেপে বললেন, ‘তিনি আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা অভিনেতা। বাংলা সিনেমায় তার অনেক অবদান। আমি চাই, আমাদের দর্শক যেন তাকে খুব সম্মানের সঙ্গে মনে রাখেন।’
একসঙ্গে কাজের স্মৃতিচারণ করে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘একসময় এত সিনেমা করেছি তার সঙ্গে। সেই সংখ্যার হিসাব নেই আমার কাছে। এটুকু বলতে পারি, আমার জীবনের কিছু শ্রেষ্ঠ সিনেমা তার সঙ্গে করা। যেখান থেকে কর্মাশিয়াল সিনেমার হিটকে উপলব্ধি করলাম, গোল্ডেন জুবিলি, সিলভার জুবিলি, তার একটা বড় অংশ অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।’
অভিষেক ও ঋতুপর্ণা জুটির সবচেয়ে হিট ও টলিউডের অন্যতম সফল সিনেমা ‘সুজন সখী’। এই সিনেমার কথা মনে করে অভিনেত্রী বলেন, “আমার এখনও মনে আছে, আমি শুনেছিলাম, ঋতুপর্ণা সুপার স্টার হয়ে গেছে, সুজন-সখী গ্রামেগঞ্জে, শহরে, শহরতলিতে, চারিদিকে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সিনেমা কত টাকার ব্যবসা করেছে, এখন ঠিক মনে নেই। তবে আমাদের প্রযোজক অসীম সরকার এসে বলেছিলেন, ‘তুমি আমার লক্ষ্মী’। অভিষেককে বাহবা দিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে একটা বিরাট উপহার দিলে।”
অভিষেকের আত্মার শান্তি কামনা করে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমার কাছে অভিষেকের চলে যাওয়াটা খুবই দুঃখের। হয়ত তার মনের মধ্যে অনেক ক্ষোভ ছিল। সেগুলো হয়ত জানি না, কতটা ছিল, কী ছিল, সেগুলো নিয়ে কতটা আক্ষেপ ছিল। তবে আজকে সে যে চলে গেছে, যেখানে গেছে, সেখানে হয়ত অনেক শান্তি পাবে। আমি চাইব, যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।’
কেআই/আরআইজে