‘মনপুরা’ খ্যাত নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে দেখা হয় চিত্রনায়িকা পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজের। সেই দেখার মাত্র সাতদিনের মাথায় তারা বিয়ে করে ফেলেন। এখন তারা অপেক্ষায় আছেন প্রথম সন্তানের।

আবারও সেলিমের সিনেমায় যুক্ত হলেন রাজ। নাম ‘কাজল রেখা’। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল সিনেমাটি। অবশেষে এর কাজ শুরু হচ্ছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এই সিনেমার নাম ভূমিকায় থাকছে নয়া চমক। নবীন এক অভিনেত্রীকে দেখা যাবে পর্দায়। তার নাম মন্দিরা চক্রবর্তী। তিনি ২০১২ সালে ‘চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে’ প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছিলেন। এরপর টিভিতে কিছু কাজ করেছিলেন। এবার গিয়াসউদ্দিন সেলিমের মতো নন্দিত নির্মাতার হাত ধরে আসছেন রূপালি পর্দায়।

সিনেমাটিতে শরিফুল রাজ ও মন্দিরার সঙ্গে থাকছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলাও। যিনি বর্তমানে দুই বাংলায় চুটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কলকাতার এক হালি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, পা গলিয়েছেন ওয়েব সিরিজেও। এবার তাকে দেখা যাবে কাজল রেখার গল্পে কঙ্কণ দাসী চরিত্রে।

জানা গেছে, প্রায় চারশ বছর আগের লোককাহিনি অবলম্বনে নির্মিত হবে ‘কাজল রেখা’। তাই অভিনয়শিল্পীদের সেই অনুযায়ী ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। মন্দিরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে তিনি গ্রুমিং করছেন। তবে তাকে চূড়ান্ত করা হয় মাস দেড়েক আগে।

গণমাধ্যমকে মন্দিরা বলেন, ‘সেলিম ভাইয়ের মতো একজন বড় পরিচালকের বড় প্রজেক্টের নাম ভূমিকায় অভিনয় করব আমি, তাই প্রথমে নার্ভাস লাগছিল। আবার এক্সসাইটেডও হয়েছি। কারণ, আমার প্রথম ছবিই সেলিম ভাইয়ের স্বপ্নের প্রজেক্ট।’

শরিফুল রাজ বেশ কিছুদিন আগেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই সিনেমায়। তরুণ এ অভিনেতা বলেছেন, ‘এটি ৪০০ বছর আগের গল্পের চরিত্র। তাই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ আছে চরিত্রটিতে। তবে চিত্রনাট্যটি পড়ার সময় কাজল রেখার সেই রূপকথার গল্পের মজাটা পাচ্ছি। নিজের মধ্যে একটা অ্যাডভেঞ্চার কাজ করছে। যেহেতু সেলিম ভাইয়ের কাজ এটি। ভালো কিছু হবে।’

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মিথিলা। গুণী এই অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘এটি একটি রূপকথার গল্পের চরিত্র। চরিত্রের মধ্যে অনেক কিছু ফ্যান্টাসির মতো মনে হবে। আবার আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গেও মানিয়ে রান করবে গল্পটি। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেখলাম, খুবই মজার একটি চরিত্র এটি।’

‘কাজল রেখা’ গিয়াসউদ্দিন সেলিমের স্বপ্নের প্রজেক্ট। ২০০৯ সালে ‘মনপুরা’ সিনেমা মুক্তির পরই তিনি এই সিনেমার চিত্রনাট্য লেখেন। কিন্তু নানাভাবে চেষ্টা করেও কাজটি শুরু করতে পারেননি। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। নেত্রকোনার দুর্গাপুর, সিলেটের হাওর ও বঙ্গোপসাগরে হবে সিনেমাটির শুটিং।

কেআই