গত বছরের শেষের দিকেই খবর আসে আট বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে দেবলীনা-তথাগতর। তারা আর একসঙ্গে থাকছেন না।  

কিন্তু ফাল্গুনের এই সময়ে কঠিন এই বাস্তবতা যেন কোনোভাবে মেনে নিল না প্রকৃতি। আর তাই তো এক বিয়ের আসরে দেখা হয়ে গেল অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও  অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়ের।   

বহুদিন পর পাশাপাশি দাঁড়ালেন, কাছাকাছি এলেন। মাখামাখি পোজে ছবিও তুললেন দুজনে। 

দেবলীনার সিথিতে উপচে পড়ছিল লাল টকটকে সিঁদুর। লাল নীল সিল্ক আর জরির ঝলমলে লেহেঙ্গা শাড়িতে মুখে ছিল সলাজ হাসি। এগিয়ে গেলেন তথাগত। সিল্কের ধুতি পাঞ্জাবিতে বেশ হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছিল তাকে। অসংখ্য ক্যামেরার ঝলকের সামনে কাছাকাছি এসে হাতে হাত রাখলেন আলতো করে।

বিয়ে বাড়িতে সানাইয়ের সুরের রেশ তখন বদলে গেছে গানে, ‘এই রাত তোমার আমার, শুধু দুজনার!’তাদের চার হাতের মিলনে বিয়ের আসরে ছড়িয়ে পড়ল প্রেমের উন্মাদনা। প্রেম তো অমর। বিচ্ছেদ তাতে আপাত দূরত্ব আনলেও শিকড় হয়তো উপড়ে যায় না।  

তথাগত বললেন, ‘শুধু প্রোফেশনালি কাজের ক্ষেত্রেই নয়, আমরা এক ছাদের নীচে থাকছি না বলেই যে আমাদের এতদিনের বন্ধুত্ব, এতদিনের ভালোবাসা হারিয়ে গেছে, তা কিন্তু নয়। এখনও দেবলীনা কোনো অসুবিধেতে পড়েছে জানলে আমি ওর পাশে হাজির হব। সামনেই আমাদের ‘ভটভটি’ ছবিটার রিলিজ আছে। এরপরও সুযোগ পেলে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। আলাদা আছি বলে মুখদর্শন করব না, কথা বলব না, কাজ করব না, ফেসবুকে পরস্পরকে আনফ্রেন্ড করব, আমাদের সম্পর্কটা ঠিক এ রকম নয়। 

দেবলীনা বললেন, ত্রিশূলে আমার বিয়ের সিন ছিল। শ্যুট থেকে সরাসরি গেছিলাম হিন্দুস্থান পার্কের বিয়ের আসরে। তাই সিঁথিতে অত সিঁদুর ছিল। তাতে অবশ্য সুবিধেই হয়েছিল। কারণ ডিজাইনারের ব্রাইডাল কালেকশন লঞ্চ ছিল। মডেল হিসেবে ছিলাম আমি আর তথা।  

ব্যক্তিগত সম্পর্কে ক্ষয়ক্ষতি, ভাঙন, ফাটল  যাই হয়ে থাকুক না কেন, জুটি হিসেবে দেবলীনা-তথাগতর আদর-কদর আজও এতটুকু কমেনি।  

এনএফ