বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কালক্ষেপণ না করে বয়স বিবেচনায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক নিবন্ধন ফোরাম।

রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফোরামটি আয়োজিত অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্য দুটি দাবি হচ্ছে— ১৬তম সব নিবন্ধনধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া এবং পদ শূন্য থেকে যাওয়া রক্ষার্থে মুজিববর্ষে ইনডেক্সধারী মুক্ত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ফোরামের সভাপতি মো. রাশেদ অর্ণব ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়ম অনুযায়ী বয়স ৩৫ হয়ে গেলে আর শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আবেদন করা যায় না। আমরা এনটিআরসিএ পরীক্ষায় পাস করেছি। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে দেরি করায় ইতোমধ্যে আমাদের অনেকের বয়স ৩৫ পার হয়ে গেছে। তাই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং নিবন্ধিত যাদের বয়স ৩৫ পার হয়ে গেছে তাদের নিয়োগ দিয়ে চাকরি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে পূর্বনির্ধারিত অনশন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকে ফোরামের সদস্যরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে। এখানে অবস্থান কর্মসূচি শেষে দুপুর ২টা থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনেও একই কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

জানা গেছে, সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমরা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করি ২৩ মে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ভাইভা পরীক্ষার মাত্র সাত দিন বাকি থাকায় আমরা ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। করোনা মহামারির কারণে আমাদের লিখিত ও ভাইভার ফল প্রকাশে অনেক দেরিতে হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনেকের বয়সই ৩৫ পার হয়ে গেছে বা কাছাকাছি রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আমাদের শিক্ষক হওয়ার লালিত স্বপ্ন আজ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা এখন ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির আশায় দিন গুনছি। আমাদের ১৮ হাজার ৫০০ জনের পরিবারের অসহায়ত্ব ও বয়সের কথা বিবেচনা করে বর্তমানে সারা দেশের শূন্যপদের তথ্য নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।

এমএইচএন/এসএম