ক্রমাগত করোনাভাইরাসের প্রভাবে বছরের শুরুটা আনন্দঘন না হলেও দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণ ফিরে আসে। স্কুল পর্যায়ে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারি, পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি, এমপিওভুক্তি, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা- এমন ইতিবাচক অনেক কিছুই শিক্ষাখাতে ঘটেছে এ বছর। অন্যদিকে, এ বছরই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে নামেন রাজপথে। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছিল ব্যর্থতার ছাপ।

হচ্ছে না বই উৎসব, ১ জানুয়ারি সবাই পাবে নতুন বই

২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সব শিক্ষার্থীকেই বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে সরকার। বছরের প্রথম দিনই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস’ পালন করে সরকার। তবে করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারো হবে না স্কুলে স্কুলে বই উৎসব। ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এবার স্কুল থেকে ভাগে ভাগে বই বিতরণ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ ভাগ বই স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে। বাকিগুলো যাবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। 

এছাড়া, এখনও ছাপা হয়নি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব বই। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির দাবি, সকল প্রকাশন ও প্রেস যদি রাতদিন কাজও করে তবু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৫ কোটি বই পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে না। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী যেহেতু ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের বই দিবেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বই পৌঁছে দিতে পারব।  

এবারও পাঠ্যবইয়ে ভুল

প্রতিবছরই বিনামূল্যের বই বিতরণের পর নানা অসঙ্গতি-ভুল উঠে আসে। এবারও অসংখ্য ভুল পাওয়া গেছে নতুন বইয়ে। অবশ্য বইয়ের মধ্যে বিতর্কিত বিষয় ও ভুলভ্রান্তি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আগের সমস্যাগুলো সংশোধন করা হয়েছে। আমরা আরও অনেক বেশি যত্নশীল হয়েছি। তারপরও ভুল পাওয়া গেলে সংশোধন করে নেব।

গোঁজামিলে তৈরি হচ্ছে নতুন কারিকুলাম 

২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রম চলছে এখন। প্রাথমিকের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হচ্ছে। পুরোপুরি নবায়ন করা হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম। ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় নির্দেশনা যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তৈরি হয়নি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাক্রম। রূপরেখা অনুযায়ী বইয়ের কনটেন্টও চূড়ান্ত হয়নি। 

‘যোগ্যতাভিত্তিক শিখনফল’ বাদ দিয়ে ‘অভিজ্ঞতাভিত্তিক’ জটিল একটি যোগ্যতার ছক (মেট্রিক্স) জুড়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাক্রমে। ওই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী কতটা শিখবে সেটার মাপকাঠি নির্ধারিত হয়নি। মূল্যায়ন স্ট্যান্ডার্ডও অনির্ধারিত। জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিশেষজ্ঞদের বাদ দিয়ে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) নির্দেশিকাতেই নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে। এভাবেই গোঁজামিল দিয়ে সব চূড়ান্ত হচ্ছে। 

পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে আছে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

নিয়োগজটে আটকা পড়েছেন বেসরকারি শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা। প্রাথমিকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর পাঁচ মাস কেটে গেলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে আছে। 

জানা গেছে, ৩৮ হাজারের মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি ফরম পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে সেগুলো এখনো ফেরত আসেনি। ফলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারছে না। তাতে হতাশ নিয়োগপ্রার্থীরা।

দুই বছর ধরে নেই এমপিওভুক্তি

এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিও) করতে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ অক্টোবর তা শেষ হয়। এবার সরকারি এমপিও পেতে সারাদেশের আট হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এর মধ্যে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তত সাড়ে ছয় হাজার। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্তর পরিবর্তনের আবেদন করেছে। এখন চলছে আবেদন যাচাই-বাছাই। সবশেষ দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দীর্ঘ ৯ বছর পর দুই হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। তার মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ১০৮টি ছিল। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণি স্তরের প্রতিষ্ঠান ৮৮৭টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৮টি, কলেজ (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) ৯৩টি এবং ডিগ্রি কলেজ ৫৬টি এমপিওভুক্ত করা হয়। এছাড়া মাদরাসা ছিল ৫৫৭টি। সেবার কোনো মন্ত্রী-এমপির ডিও লেটার আমলে নেওয়া হয়নি। 

আটকে আছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ভাতা ও উপবৃত্তির ৮৬৪ কোটি টাকা

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার (কিটস অ্যালাউন্স) টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ দুই অর্থ বছরের উপবৃত্তির ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণকারী সংস্থা হিসেবে ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোয় এটি বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।

তথ্যের ভুলে উপবৃত্তি পায়নি অনেক শিক্ষার্থী

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য শিক্ষার্থীদের একটি অংশ উপবৃত্তি পায়নি। দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। এ কারণে দায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। ইতোমধ্যে ট্রাস্টের কাছে দায়ীদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

৭০ ভাগ সরকারি মাধ্যমিক স্কুলেই নেই প্রধান শিক্ষক 

সারাদেশে ২৩৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। যা মোট প্রধান শিক্ষক পদের ৭০ শতাংশ। সেইসঙ্গে আছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা কর্মকর্তার সংকটও। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এ সংস্থার আওতায় থাকা সহকারী শিক্ষক থেকে উপ-পরিচালক পর্যন্ত ২২ শতাংশ পদই শূন্য। আর মহাপরিচালক বলছেন, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামী বছরের শুরুতে সহকারী শিক্ষকের সংকট কাটবে। তবে, প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষা কর্মকর্তার সংকট কবে কাটবে তার উত্তর জানা নেই অধিদফতরের।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষায় স্থবিরতা

নানা সংকটে আছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম। খাগড়াছড়ির কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাছে মোটামুটি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ শিক্ষার্থীদের পড়ানো। কারণ অনেক শিক্ষকই নিজ নিজ ভাষায় লিখতে ও পড়তে জানেন না। তাদের লেখাপড়া পার হয়েছে বাংলা ভাষা শিখে। সে জন্য তাদের নিজেদেরও নিজ নিজ ভাষায় পড়া ও লেখার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয়। অনেক স্কুলে আবার রয়েছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই মাতৃভাষা ব্যবহারকারী শিক্ষকের সংখ্যার স্বল্পতা। 

‘শিক্ষা আইন’ খসড়াতেই 

পাঁচ বছর ধরে শিক্ষা আইন প্রণয়নের কাজ ঝুলে রয়েছে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে কওমি মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের নোট ও গাইডবই নিষিদ্ধের বিধান রেখে চলতি বছর শিক্ষা আইন-২০২১-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নেই স্থায়ী শিক্ষানীতি

কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০- এর কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা আইন প্রণয়ন হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নিয়ে সেটাকে জাতীয়করণ করা হয়নি। সাধারণ, কারিগরি আর মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ভিন্নতায় যুগোপযোগী শিক্ষানীতি এখনও তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

গবেষণায় বরাদ্দ কমেছে

বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই কেবল পাঠদান এবং পরীক্ষা নিয়ে গ্র্যাজুয়েট সৃষ্টির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এর মূল কারণ হচ্ছে গবেষণায় অপ্রতুল বরাদ্দ। দিন দিন এই খাতে ব্যয় কমছে। গত বছর এই খাতে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের এক দশমিক ৬০ শতাংশ। সেখানে চলতি অর্থবছরে মাত্র এক শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।। এছাড়া অন্য দেশগুলোর মতো বেসরকারি খাত থেকে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৃষ্ঠপোষকতা নেই। সব মিলিয়ে গবেষণা কাজে ব্যয়ের আগ্রহ খুবই কম। ফলে নিয়মিত ও মানসম্মত গবেষণা হচ্ছে না। 

বিভিন্ন দাবিতে মাঠে শিক্ষকরা

৪ হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ, ইবতেদায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, শিক্ষার সবস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন গ্রেড-৬ করাসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের মৃত্যুতে ফের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে স্কুল শিক্ষার্থীরা। এর বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলা, গণহারে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতার পুনঃমূল্যায়ন, দ্রুততম সময়ে বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ, বাসে হাফ ভাড়া চালুসহ নানা দাবিতে সড়কে সরব ছিল শিক্ষার্থীরা।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ দাবিতে আন্দোলন

সব চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করা, নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করে নিয়োগ পরীক্ষার মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ করা, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা এবং সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দাবিতে বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করে চাকরিপ্রার্থীরা।

এএজে/এইচকে