এইচএসসির ফরম পূরণের ব্যয় না হওয়া অর্থ ফেরতের নির্দেশ
করোনা মহামারির কারণে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ফরম পূরণের জন্য আদায় করা অব্যয়িত ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকা।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমির উল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা শনিবার (৩০ জানুয়ারি) জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন বাবদ ধার্য করা অর্থ এবং ব্যবহারিক ও কেন্দ্র ফি বাবদ আদায় করা অর্থ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির ১৫৮ সভায় ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এতে বলা হয়, যেসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছিল তাদের প্রতি পত্রের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ফি থেকে পত্র প্রতি ৩০ টাকা করে এবং ব্যবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে পত্র প্রতি আরও দশ টাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে ফেরত দেওয়া হবে।
এছাড়া পরীক্ষার্থী প্রতি ২০০ টাকা করে এবং আইসিটি বিষয়ক পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত আরও ২৫ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আইসিটি ছাড়া সব ব্যবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে পত্র প্রতি অতিরিক্ত ৪৫ টাকা করে ফেরত দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থী কেন্দ্র ফি বাবদ ব্যয় না হওয়া অর্থ প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের ১০ শতাংশ এবং আইসিটি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য আদায় করা ফি থেকে পরীক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা ফরম পূরণ ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থী প্রতি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে ১৬০ টাকা হারে দেবে। এই অর্থ পরীক্ষার গোপনীয় কাগজ পরিবহন ও বোর্ডে জমা, সংরক্ষণ এবং প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করবে।
এই নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসক, মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়, ঢাকা বোর্ডের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
শতভাগ পাস, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন ১৬১৮০৭ জন
করোনা কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি-এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ফলের সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৩.৫৪ শতাংশ।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রকাশিত ফলে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিমে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ জন।
এনএম/জেডএস