ইউজিসির সঙ্গে কোইকা প্রতিনিধি দলের মতবিনিময়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রকল্পের কথা ভাবছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ইউজিসির মিটিং রুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। কোইকা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কোইকার প্রোগ্রাম ম্যানেজার হান ইউরি।
বিজ্ঞাপন
এসময় ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ অতিরিক্ত পরিচালক ড. দুর্গা রানী সরকার, উপপরিচালক শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কোইকার প্রজেক্ট ম্যানেজার দেরিক কিম ও প্রোগ্রাম অফিসার ফজলে রাব্বিসহ
ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান প্রস্তাবিত ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটিজ ইন বাংলাদেশ টু প্রোমোট ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রেনারশিপ’ প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিগগিরই এই প্রকল্পের টিএপিপি চূড়ান্ত করা হবে।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে কোইকা এই প্রকল্পে অর্থ ও কারিগরি সহযোগিতা করবে। পাঁচ বছর মেয়াদী ৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্প চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক মঞ্জুরি ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের জন্য কোইকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তিতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রেনারশিপ তৈরিতে সঠিক নির্দেশনা প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং তরুণ প্রজন্ম ইনোভেশন ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠবে।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ও নেটওয়ার্কিং গড়ে তুলতে দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের প্রকল্প চালু করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
আরএইচটি/ওএফ