মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) নির্দেশনা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ৭৭০জন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন কলেজে গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এসব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। 

সোমবার (৮ নভেম্বর) এ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাউশি। একইসঙ্গে এসব শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রিস্তরে নিয়োগ পাওয়া ৮৪১ জন তৃতীয় শিক্ষককে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও শর্তে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ পাওয়াদের এমপিওভুক্ত করা হবে।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৭৭০ জন ডিগ্রি পর্যায়ে তৃতীয় শিক্ষককে অনলাইনে এমপিও অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আঞ্চলিক পরিচালকদের অনুরোধ করা হলো।

এই ৭৭০ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে কয়েক দফা শর্ত দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, কলেজে নিয়োগ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিকভাবে কর্মরত থাকার বিষয়টি অধ্যক্ষ প্রত্যয়নের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাগজপত্রে স্নাতক (পাস) স্তরে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রমাণক থাকতে হবে। কলেজের অনার্স মাস্টার্স পর্যায় অথবা তৃতীয় শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্ত করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা থাকায় সদ্য সরকারি কোনো কলেজের তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্ত করা যাবে না।

শর্তে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তর এমপিওভুক্ত থাকতে হবে। তৃতীয় শিক্ষকদের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগকালীন কাম্যযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানের নতুনভাবে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।

এমএইচএস