সরকারি স্কুলের শিক্ষক পদোন্নতিতে নভেম্বরে প্রকাশিত তালিকায় ৬ হাজার ১৫৫ জনের সঙ্গে আরও ১১শ শিক্ষককে যুক্ত করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর সহকারী শিক্ষক থেকে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন ৭ হাজার ২৮৭জন শিক্ষক। 

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) নিজেদের ওয়েবসাইটে পদোন্নতির একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে মাউশি।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ৬ হাজার ১৫৫জনকে পদোন্নতি দিতে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে মাউশি। যা নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ আপত্তি তোলেন। ৫০ শতাংশ পদোন্নতি দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি মানা হয়নি বলে তার এর বিরোধিতা করেন। ৫০ শতাংশ পদোন্নতি দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে তারা আবেদন করেন।

পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে খসড়া তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় মাউশি। ৫০ শতাংশ সহাকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়ে সংশোধিত খসড়া তালিকা প্রকাশ করলো মাউশি। এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৭ হাজার ২৮৭ জন শিক্ষক।  

প্রকাশিত তালিকায় কোনো শিক্ষকের আপত্তি থাকলে তিনি আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মাউশি।

সংস্থাটি জানায়, সংশোধিত খসড়া তালিকায় কোনো শিক্ষকের আপত্তি থাকলে আগামী ২৭ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে প্রমাণক কাগজপত্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়নসহ মাউশিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হবে। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে আপিল না করলে পরবর্তীতে তার কোনো আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালে মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেয় মাউশি। এরপর নানা জটিলতা দেখা হয়। এদিকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া অনেকটাই গুছিয়ে এনেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা আটকে যায়। সম্প্রতি জটিলতা কাটলে পদোন্নতির কাজ শুরু হয়।

মাউশির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সদ্য জাতীয়করণসহ সারাদেশে বর্তমানে ৫৩১টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩১৭টি। যেগুলোতে আট হাজারের মতো শিক্ষক কর্মরত আছেন। আর বিভিন্ন পদ মিলিয়ে শূন্য পদ রয়েছে আড়াই হাজার।

এনএম/এসআরএস