এসএসসি-এইচএসসি’র সংক্ষিপ্ত সিলেবাস জানা যাবে রোববার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে এবং ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস কতটুকু কমবে তা জানা যাবে আগামী রোববার (২৪ জানুয়ারি)।
ওইদিন বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনে ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস’ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এ দুটি ইস্যুতে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের বলেন, করোনায় শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী ওইদিন ধারণা দেবেন।
ওই প্রোগ্রামের ‘কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার পুনরুদ্ধার এবং পুনর্জীবিত শিক্ষা’ বিষয়বস্তু ধরা হয়েছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং এসএসসি-এইচএসসি’র সংক্ষিপ্ত সিলেবাস নিয়ে কথা বলবেন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি-এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ক্লাস কবে শুরু হবে তার একটি ধারণা দেবেন। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। এটা যদি স্বাভাবিক থাকে তবে আমরা ফেব্রুয়ারিতে ক্লাস শুরু করতে পারব।
করোনার কারণে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তার আগে শিক্ষার্থীদের তিন মাস ক্লাসে পাঠদান করানো হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এনসিটিবি এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞদের মতামতে নিতে এক মাসব্যাপী কর্মশালা করা হয়। সেখানে দেশের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বাচাই করা জেলা শিক্ষা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নেওয়া হয়। তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অধ্যায়গুলো রেখে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ণ করা হয়েছে। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে রোববার (১৭ জানুয়ারি) তুলে দিয়েছে এনসিটিবি। সে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস নিয়ে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী।
জানা গেছে, মাধ্যমিকে সব বিভাগের মোট ২৬ বিষয়ের ওপর কর্মশালা হয়। সে বিষয়গুলো থেকে গড়ে ৩০ শতাংশ সিলেবাস করা হয়েছে। সব বিষয়ে সমান বলা যাবে না। কারণ একেক বিষয়ে একের ধরনের পাঠ কমেছে।
এ ব্যাপারে এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মাহফুজ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস থেকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছি। যেসব বিষয়গুলো না শিখলেই নয়, সেগুলো সিলেবাসে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খোলা সম্ভব হলে দুই থেকে আড়াই মাস যাতে ক্লাস পাঠদান করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেভাবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। আর করোনার কারণে যদি স্কুল না খোলা যায় সেক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার প্রস্তাব করেছি। শিক্ষকরা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করবে।
এনএম/জেডএস