আকস্মিক পরিদর্শন হবে, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ব্যবস্থা
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর রোববার স্কুল খুলেছে। প্রথম দিনে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। লম্বা সময় স্কুল বন্ধ থাকায় প্রথম দিন এ পরিস্থিতি হয়েছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া এ সময়ে এক শ্রেণির শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণিতে উঠে গেছে। এ কারণে তাদের শিক্ষক, সহপাঠী ও ক্লাস বদলে যাওয়ায় সমন্বয়েরও অভাব ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের। শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন ক্লাসে পাঠ কার্যক্রমে অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গার প্রাথমিক স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা প্রথমদিন বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। আমাদের নির্দেশনা মোতবেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাসে পাঠদান হয়েছে। ক্লাসে আসতে পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অনেক খুশি। তবে উপস্থিতির সংখ্য কম ছিল। শিক্ষক-অভিভাবকেরা সচেতন হলে উপস্থিতি আরও বাড়বে। আবার প্রথম দিন হিসেবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কোথাও কোথাও প্রত্যাশার চেয়েও বেশি লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষক-অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে দ্রুত আরও বেশি সংখ্যক ক্লাস শুরুর প্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্কুলে স্বাস্থ্যবিধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আকস্মিক পরিদর্শনে যাবো। সেজন্য জেলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে কারও কোনো গাফিলতি পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বিভাগীয় উপপরিচালকদের এই নির্দেশ দেয়া হয়।
রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মনীষ চাকমা স্বাক্ষর করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের আলোকে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়গুলোয় রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে রুটিন অনুযায়ী সরাসরি শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষার্থী সরাসরি পাঠদানে উপস্থিত রয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য প্রয়োজন। প্রত্যেক বিভাগের জেলাভিত্তিক তথ্য সমন্বয় করে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
এনএম/এনএফ