শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট। করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।

এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হতে পারে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগামী শনিবার অথবা রোববার হতে পারে মন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন। কোন স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে, তা প্রায় চূড়ান্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। স্কুল খোলার সব প্রস্তুতি আমাদের আছে। এ মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে আগামীকালই আমরা সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলো খুলে দিতে পারি।

জানতে চাইলে বুধবার নিজ দফতরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোর প্রস্তুতি চলছে। 

তিনি বলেন, এখন করোনা সংক্রমণ নিচের দিকে। সব বিষয় আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। করোনা মোকাবিলা সরকারের গঠিত পরামর্শক কমিটি ও দেশের প্রবীণ শিক্ষাবিদদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন।

কবে নাগাদ এ সংবাদ সম্মেলন হতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি শেষ হবে ৩১ আগস্ট। এর আগেই হবে।

গত ২৬ মে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনার ওপর। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার কঠোর বিধিনিষেধে চলে যায় সারাদেশ। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি।

এর আগে, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে ২৪ মে থেকে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। এরপর মার্চ থেকে ফের বাড়তে থাকে সংক্রমণ। বাধ্য হয়ে সেই ছুটি বাড়াতে হয়।

২০২০ সালে ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে দেশের সব স্তরের  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর গত ১৭ মাসে মোট ২২ দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে।   

এনএম/আরএইচ