করোনার কারণে আটকে থাকা ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু দেশে বিভিন্ন জায়গা শিক্ষার্থীর অ্যাসাইমেন্ট অন্যজন করে করে দিচ্ছে কিংবা অ্যাসাইম্যান্ট করার ক্ষেত্রে নকলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর অ্যাসাইমেন্ট কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ করতে প্রশাসনকে কঠোর মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে মাউশি অধিদফতরের মনিটনিং অ্যান্ড ইভ্যুলয়েশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সাত দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যুলয়েশন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর আমির হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট এবং মূল্যায়ন নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা সরেজমিনে মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি গঠন করবে।

এ কমিটিগুলো সব পরীক্ষার্থী যেন অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। শিক্ষার্থীরা যেন কোনক্রমেই অ্যাসাইনমেন্টগুলোতে নকল বা কোন প্রকারের অসদুপায় অবলম্বন না করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। কোন শিক্ষার্থী যদি অ্যাসাইনমেন্টে নকলের আশ্রয় নিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় তাহলে তা বাতিল করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন এবং বিষয়টির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীকে সতর্ক করবেন।

শিক্ষার্থীরা যেন অ্যাসাইনমেন্টগুলো নিজ হাতে লিখে জমা দেয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। নির্দেশনা মতে অ্যাসাইনমেন্টগুলো শিক্ষকরা কর্তৃক যথাযথভাবে মূল্যায়ন, সংরক্ষণ এবং নম্বরগুলো সঠিকভাবে এক্সেল শিটে এন্ট্রি করা হচ্ছে কি না তা কমিটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।

কমিটি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে চলমান অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সফলভাবে কার্যকর করার লক্ষ্যে সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের থেকে সময়ে সময়ে জারিকরা নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

এছাড়াও অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সরেজমিনে মনিটরিংয়ে সব সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে এ উইং।

এনএম/এসএম