বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন | ফাইল ছবি

গত কয়েকটি সাধারণ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দুই হাজার পদের বিপরীতে চার লাখের মতো আবেদন জমা পড়ে। আবেদন নেওয়ার প্রথম সপ্তাহে যেখানে এক লাখের বেশি আবেদন পড়ত, সেখানে ৪৩তম বিসিএসে গত ১০ দিনে আবেদন পড়েছে মাত্র ১২ হাজার।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এবার করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্সের পরীক্ষা স্থগিত বা ঝুলে রয়েছে। যেসব পরীক্ষা হয়েছে তার ফলও হচ্ছে না। এ কারণে ৪৩তম বিসিএসে আশানুরূপ আবেদন পড়ছে না।

বিগত কয়েকটি সাধারণ বিসিএসে চার লাখের মতো আবেদন পড়ে। এবার আবেদন কম, এটা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই

পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন

ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সুযোগ দিতে পিএসসির কাছে আবেদন করেছে। অ্যাপেয়ার্ড শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে পিএসসি। তবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত কয়েকটি সাধারণ বিসিএসে চার লাখের মতো আবেদন পড়ে। এবার আবেদন কম, এটা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই।

গত ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়, যা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে

আবেদনের সময় বাড়ানো হবে কি-না, এমন প্রশ্নে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, শেষের দিকে আবেদনের সংখ্যা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ এবার এক বছরের মধ্যে ৪৩তম বিসিএসের সব কাজ শেষ করতে চাই। তাই দীর্ঘ সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নাই। তবে আমরা চাই সবাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক।

গত ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়, যা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন এবং সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

এনএম/এমএআর