করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে নগদ সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নন-এমপিও ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষককে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আর ২৫ হাজার ৩৮ জন কর্মচারীকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রথম ধাপে ছাড় হওয়া অর্থ থেকে ১৮ হাজার ২৪৭ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৫৮ জন নন-এমপিও শিক্ষক পাবেন জনপ্রতি পাঁচ হাজার ৩০ টাকা। এতে ব্যয় হবে সাত কোটি ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪০ টাকা। সমহারে ১৫৮ জন নন-এমপিও কারিগরি শিক্ষককেও অর্থ দেওয়া হবে। এতে ব্যয় হবে সাত লাখ ৯৪ হাজার ৭৪০ টাকা।

তিন হাজার ১২১ জন কর্মচারীকে জনপ্রতি দুই হাজার ৫১৫ টাকা করে দেওয়া হবে। এতে ব্যয় হবে ৭৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৫ টাকা। এ ছাড়া ১১০ জন নন-এমপিও কারিগরি কর্মচারী সমহারে অর্থ পাবেন। এতে ব্যয় হবে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬৫০ টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সব মিলে প্রথম ধাপে খরচ হবে আট কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫ টাকা। এই টাকা ব্যয় হবে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের অধীন ‘মুজিব শতবর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক খাত থেকে। এ খাতে ৭৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত শিক্ষক-কর্মচারীরাই যাতে নগদ সহায়তা পান সে জন্য বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (ব্যানবেইস) দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেইসে থাকা ৬৪ জেলার আট হাজার ৪৯২টি স্কুল ও কলেজের নন-এমপিও ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষক ও ২৫ হাজার ৩৮ জন কর্মচারী মিলে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার ৭৮৫ জনের তালিকা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়। ওই তালিকা থেকেই নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর ‘বিশেষ অনুদান’ খাত থেকে গত বছর জেলা প্রশাসকদের কাছে অর্থ পাঠানো হয়েছিল। তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের চেক/ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। এবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৮ হাজার জনকে এই টাকা পাঠানোর পর দ্বিতীয় ধাপে ২০ হাজার জনকে টাকা পাঠানো হতে পারে।

এনএম/ওএফ