৬ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান পেল প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাত থেকে স্কুল-কলেজ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ৬ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছেন। অনুদান পাওয়াদের মধ্যে রয়েছে ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৬ষ্ঠ থেক ৮ম শ্রেণির ১৮৩৮ জন শিক্ষার্থী, ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণির ১৩১২ জন শিক্ষার্থী, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৯৩৩ জন এবং স্নাতক থেকে তার উপরের শ্রেণির ৮৪০ জন শিক্ষার্থী।
বুধবার (৩০ জুন) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই অনুদানের টাকা মঞ্জুর করা হয়। সেই সঙ্গে এসব টাকা বিতরণ করার আদেশও জারি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আদেশে বলা হয়, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত পরিচালন বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক- কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ অনুদান খাতে বরাদ্দ করা অর্থ থেকে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দ করা টাকা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক একাউন্ট শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।
যেসব শর্ত টাকা পাবেন সংশ্লিষ্টরা
১. শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও থার্ড ওয়েব টেকনোলজিস লিমিটেড মনোনীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের নামের পাশে বর্ণিত হারে অর্থ বিতরণ করবেন। অর্থ বিতরণ শেষে সংশ্লিষ্টরা বিস্তারিত প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে দাখিল করবেন।
২. কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীদের নাম যদি দুইবার মঞ্জুরি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে একটি মঞ্জুরির বিপরীতে মঞ্জুর করা টাকা বিতরণ করবেন।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ মনোনীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরে প্রদান করবেন।
যারা পাচ্ছেন এই অনুদান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী এ তিন ক্যাটাগরিতে অনুদান দেওয়া হয়। সরকারি এবং বেসরকারি এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব–দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদান প্রাপ্তির আবেদন করতে পারেন।
এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অসহায়, অসচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পেয়েছে। এছাড়া দেশের সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাব তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীবান্ধব করতে বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের আবেদন করে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার অসচ্ছল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পায়। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দুরারোগ্য ব্যাধি বা দৈব–দুর্ঘটনার জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারেন।
এনএম/এমএইচএস