বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী ২ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগের সুপারিশের (এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে আইন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে আর কোনো বাধা নেই এনটিআরসিএ’র।

এ পরিস্থিতিতে দুই-একদিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে চায় এনটিআরসিএ। এটা নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে পরামর্শ করেন এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা। 

বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপমন্ত্রী এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন চেয়েছে। এটা পেলে একদিনের মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি করা হবে, সে হিসেবে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার ফল প্রকাশ করা সম্ভব। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত এনটিআরসিএ’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা উপমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করেছি। তিনি ডকুমেন্ট হিসেবে একটি লিখিত আবেদন চেয়েছেন। এনটিআরসি’র পক্ষ থেকে আজকে আবেদন দেওয়ার চিন্তা হচ্ছে। আবেদনে উপমন্ত্রী কাল-পরশু যেদিনই অনুমোদন দেন সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে গতকাল উচ্চ আদালতের আদেশের পর দুই-একদিনের মধ্যে ফল প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন এনটিআরসিএ সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম।

তিনি বলেছিলেন, বহুল কাঙ্ক্ষিত এ রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। আমাদের টেলিটকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আশা করছি আজ-কাল অর্থাৎ সোম-মঙ্গলবারের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে পারবো। 

১-১২তম নিবন্ধনধারী কিন্তু শিক্ষক হিসেবে কোথাও নিয়োগ পাননি এমন আড়াই হাজার ব্যক্তি হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছিলেন। তাদের আবেদন ছিল, এনটিআরসিএ যে প্রক্রিয়ায় (মেধার ভিত্তিতে) ১-১৫তম নিবন্ধনধারীদের মধ্য থেকে ৫৪ হাজার জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য বাছাই করেছে তা বাতিল করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাদের (রিটকারীদের) নিয়োগের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হোক। 

হাইকোর্ট রিট আমলে নিয়ে এই আড়াইহাজার জনকে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএ-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এনটিআরসিএ হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। সোমবার আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করে দেন।

এনএম/এনএফ