প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সাত বছর চাকরির পর সুপার নিউমারি পদোন্নতি চান। এজন্য তাদের যুক্তি হচ্ছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি মাত্র প্রধান শিক্ষক পদ, পদোন্নতির যোগ্যতা থাকলেও পদ সংকটের কারণে সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি না পেয়েই কর্মজীবন শেষ করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজেশ মজুমদার বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে পদোন্নতি হয় উপজেলাভিত্তিক। পদ সংকট ও বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ২০০৯ সাল থেকে পদোন্নতি দেওয়া বন্ধ।

তিনি বলেন, কলেজে অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য শূন্যপদ কোনো বিষয় নয়। তাই শূন্য পদের বিপরীতে নয় নিয়োগ বিধিতে উল্লেখিত যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে সাত বছর পর সুপার নিউমারি পদোন্নতি দেওয়া উচিত।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫২ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। যেহেতু প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটিমাত্র প্রধান শিক্ষক পদ, তাই পদোন্নতির যোগ্যতা থাকলেও পদ স্বল্পতার কারণে সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি না পেয়ে পুরো কর্মজীবন একই পদে কর্মরত থাকেন।

এতে আরও বলা হয়, প্রধান শিক্ষক পদেও পদোন্নতি নেই। ফলে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরতদের অবসর গ্রহণ ছাড়া পদ শূন্য হয় না বিধায় প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদোন্নতি যোগ্য পদের সংখ্যা আরও কম। তাই সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি সমস্যার সমাধানে সুপার নিউমারি পদোন্নতি কার্যকরী সমাধান।

এনএম/আরএইচ