করোনায় বন্ধ থাকা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষন কার্যক্রমে রাখতে গুগল মিট প্লাটফর্মে অনলাইন ক্লাস চালু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। কিন্তু শিক্ষকরা নিজের আইডি দিয়ে গুগল মিটে সংযুক্ত হয়ে প্যানেল পরিবর্তন করে অন্যদের দিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন। এছাড়াও শিক্ষকরা ক্লাস করাচ্ছেন কি না তা মনিটরিং করার সুযোগ ছিল না। সেজন্য অনলাইন ক্লাস মনিটরিং করতে ৬টি নতুন ফিচার সংযোজন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

রোববার (২০ জুন) অধিদফতর থেকে অনলাইন পাঠদান মনিটরিংয়ের জন্য এসব নির্দেশনা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক উন্নয়নকৃত 'অনলাইন পাঠদান মনিটরিং' ওয়েব পোর্টালে শিডিউল এন্ট্রি বন্ধ থাকবে। হোস্ট সার্ভার পরিবর্তন এবং ডাটা মাইগ্রেশনজনিত সমস্যার কারণে সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ওয়েবপোর্টালটিতে নতুন যেসব ফিচার সংযোজন করা হয়েছে সেগুলো হলো- বিদ্যালয়ভিত্তিক লগইন করতে হবে, পর্যবেক্ষণকারীর ফিডব্যাক দিতে হবে, পাঠে সংযুক্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা জানতে হবে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ এর বেশি পাঠদান হয়েছে এমন উপজেলা/থানার তালিকা সাপ্তাহিক পাঠাতে হবে, একটিও পাঠদান হয়নি এমন উপজেলা/বিদ্যালয়ের তালিকা সাপ্তাহিক পাঠাতে হবে এবং সেরা পাঁচ (সর্বোচ্চ) পাঠদানকারী শিক্ষকদের তালিকা হবে।

জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি ক্লাস্টারে আইসিটি পুল গঠন করে ‘গুগল মিট’ প্লাটফর্মে অনলাইন ক্লাস চলছে। প্রতিটি ক্লাস্টারে নির্বাচিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনলাইন স্কুল ব্যবস্থাপনায় এ ক্লাস নিচ্ছে। করোনার প্রকোপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, সারাদেশে প্রতি ক্লাস্টারে গুগল মিটে ক্লাস চলছে। আইসিটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছে তারা ক্লাস নিচ্ছেন। যেখানে প্রশিক্ষিত শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যদি কোনো ক্লাসে ৩০ জনের বেশি হয় সেক্ষেত্রে আমরা আলাদা করে আরেকটি অনলাইন ক্লাস চালু ব্যবস্থা করছি।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গুগল মিট ক্লাসের গাইডলাইনসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা বা নীতিমালা সব শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। সেই নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা।  

এনএম/জেডএস