কর আরোপের প্রতিবাদ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫% কর আরোপ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘নো ট্যাক্স অন এডুকেশন।’
মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে শাহবাগ থেকে একটি মিছিল নিয়ে সাকুরা পয়েন্ট হয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা আমার অধিকার,’ ‘শিক্ষা-বাণিজ্য একসাথে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে প্রাইম এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আহমেদ হোসাইন দীপ্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তামিম আহমেদ তুরাগ,ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির সজীব মিয়া, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নুসরাত ফারিন বিজেতা,নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির তামজিদ হায়দার চঞ্চল প্রমুখ।
কর আরোপের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১০ জুন বেলা ১১টায় ধানমন্ডির শংকরে এবং ১১ তারিখ বিকেল ৩টায় রামপুরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তামজিদ হায়দার চঞ্চল এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে তামিম আহমেদ তুরাগ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যে ১৫% কর আরোপ করা হয়েছে, সেটা একটা অনৈতিক প্রস্তাব। সরকার সকলকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে উচ্চশিক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কি আমাদের অপরাধ?
সজীব মিয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রস্তাবিত এ বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করার জন্য আমাদের আন্দোলনের বিকল্প নেই। এই করেনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেখানে আমাদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে মানবিকতার খাতিরে প্রণোদনা দেওয়ার কথা, সে জায়গায় অনলাইন ক্লাস করিয়ে রীতিমতো টাকা আদায় করা হয়েছে। তারপরে আবার কর আরো! তাহলে আমরা যাবো কোথায়?
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবারের টাকা খরচ করে শিক্ষাকে পণ্যের মতো কিনে নিচ্ছি, কিন্তু চাকরির বাজারে কোনো চাকরি নেই। এই যদি হয় আমাদের দশা! তাহলে আমরা যাবো কোথায়? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কি অন্যায়?
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিন বিজেতা বলেন, সরকারের অনেক ঘাটতি রয়েছে। অনেক ঋণ রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে টেনে নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নিজেদের ঘাটতি মেটাতে এ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এইচআর/এনএফ