প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলছে ১৩ জুন
আগামী ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে।
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বুধবার (২৬ মে) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন (ভার্চুয়াল) এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও টিভি, কমিউনিটি রেডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এতে সব শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা নানান পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
জাকির হোসেন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আগামী ১৩ জুন থেকে আমরা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের তৈরি করা স্বাস্থ্যবিধির গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। বর্তমানে বিদ্যালয় খুলে ছেলে-মেয়েদের পেছনের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে।
এদিকে, আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ জন্য ১২ জুন পর্যন্ত নতুন করে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে না গেলে ১৩ জুন থেকে সব স্কুল-কলেজ খুলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তবে করোনার দুই ডোজ টিকা সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের দেওয়া সম্পন্ন হলে আবাসিক হল যুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও যুক্ত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদুল হাসান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ।
এনএম/এফআর