শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ বাতিল এবং হয়রানি না করে তথ্য ফরম করতে পাঁচ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। মঙ্গলবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল ও ডেটাবেজ প্রণয়নের জন্য তথ্যছক পূরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের তথ্যছক পূরণের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক তথ্যছক পূরণের নতুন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শিক্ষার্থীদের পূরণকৃত তথ্যছকের তথ্য জন্মনিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ডেটাবেজে প্রেরণের পর ইউনিক আইডি প্রাপ্তি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অনলাইন জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধন থাকলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ডেটাবেজ থেকে তাদের ইউনিক আইডি পাওয়া যাবে না।
০২. শিক্ষার্থীদের পিতা বা মাতার যেকোনো একজনের এনআইডি নম্বর, নাম, জন্ম তারিখ প্রভৃতি তথ্য প্রদান করতে হবে। এনআইডি নম্বর দেওয়া হলে এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন নেই।

০৩. শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ তথ্য ফরমে প্রদান বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ পরবর্তী সময়ে প্রদান করা যেতে পারে।

০৪. ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষার্থীদেরও তথ্যছক পূরণ করতে হবে। তথ্যছক পূরণের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দ্বারা ডেটা এন্ট্রির কাজ শুরু করতে হবে।

০৫. তথ্যছক পূরণের বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে যাতে কোনো প্রকার হয়রানি বা ভোগান্তির সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জনা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এনএম/এমএআর