বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তার মধ্যে সর্বপ্রথম পড়া লেখার জন্য নিজের ভাষা বা বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাক্তন সভ্য সংঘের আয়োজনে ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে সভ্য সংঘ বার্ষিক বক্তৃতা ২০২৪ উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশে শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণ ও অধিকতর ন্যায়পরায়ণ সমাজের পথরেখা’ শিরোনামে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি, উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সারাদেশে এমন শিক্ষা কাঠামো তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে একই ব্যবস্থার মধ্যে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। তবেই শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণ ও অধিকতর ন্যায়পরায়ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, মেটলাইফ এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।  
    
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে পর্বে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাংলাদেশে শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণ ও অধিকতর ন্যায়পরায়ণ সমাজের পথরেখা তৈরি করতে গেলে শিশুদের বই পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি আরও বলেন, একটা বই একটা শিশুর হৃদয়কে নাড়া দিতে পারে। আমরা যদি শিশুর হৃদয়কে বই পড়ার মাধ্যমে নাড়া দিতে পারি বা জাগ্রত করতে পারি তাহলেই শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণ ও ন্যায়পরায়ন সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব বলে জানান।  

ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, আমরা একটি অগণতান্ত্রিক শিক্ষার সিস্টেমে বাস করছি, ফলে আমাদের তরুণ-তরুণী ছাত্র-ছাত্রীদের এখন যাদের জীবন শুরু হচ্ছে তাদের জন্য আমাদের দায়িত্ব কিন্তু অনেক। আমরা নিজেরা যেন খুব ক্ষুদ্র স্তরে হলেও পরিবর্তনের সূচনা করি।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রাক্তন ও বর্তমান পাঠচক্রের সদস্যরা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠচক্রের প্রথম ব্যাচের সভ্য সিরাজুল ইসলাম কাদির। 

‘আলোকিত মানুষ চাই’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে উচ্চমূল্যবোধ সম্পন্ন, উদার, শক্তিমান ও সক্রিয় মানুষ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৪৬ বছর ধরে কাজ করছে। বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন পাঠচক্রের আওতায় বহু শিক্ষার্থী যেমন সমৃদ্ধ হয়েছেন, তেমনি বয়সভিত্তিক একাধিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এর সদস্যরা হয়েছেন আলোকিত।

এসএম