শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১০ সালের শিক্ষানীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষানীতিকে ‘অনুপযোগী ও অবাস্তবায়নযোগ্য’ বলছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নে শিগগিরই আরেকটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে প্রণয়ন করা ছয়টি শিক্ষানীতি সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে বাতিল হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্তমান শিক্ষানীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই একটি নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য একটি নতুন শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করা হবে। আমরা নিশ্চিত যে এই কমিশন একটি চমৎকার কাজ করবে।

শিগগিরই শিক্ষা কমিশনের সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে যেন কোনো বিতর্ক তৈরি না হয় কমিশন সেটা নিশ্চিত করবে।

২০১০ সালের শিক্ষানীতি বাতিলের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, এটা সম্পূর্ণ অনুপযোগী এবং এতে কোনো লাভ হবে না। বর্তমান শিক্ষানীতির অনেক বড় একটা অংশ বাস্তবায়িত হয়নি, যা প্রমাণ করে যে এটি 'অবাস্তবায়নযোগ্য'।

গতকাল বুধবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, নতুন কমিশনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খ্যাতিমান, মেধাবী এবং দক্ষ ব্যক্তিরা থাকবেন। বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সহায়তার মাধ্যমে আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, পুরোনো শিক্ষানীতি বাতিল করে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিন কার্যদিবসের মধ্যে নতুন শিক্ষা কমিশনের সদস্যদের নাম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠাতে পারে মন্ত্রণালয়।

এনএম/এমজে