প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষায় ৪ স্তরে মূল্যায়ন
নতুন কারিকুলাম বাতিলের পর ২০১২ সালের সিলেবাস পুনরায় ফিরেছে। ফলে আগের মতো স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষা মূল্যায়নের চারটি স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ নম্বর পর্যন্ত ‘সহায়তা প্রয়োজন’ স্তর; ৪০ থেকে ৫৯ পর্যন্ত সন্তোষজনক; ৬০ থেকে ৭৯ পর্যন্ত উত্তম এবং ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পর্যন্ত অতি উত্তম স্তর। এছাড়াও ২০২৬ সাল থেকে ফিরছে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের নিয়মে ফিরছে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। ২০২৬ সাল থেকে বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চলতি বছর থেকেই বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২ ডিসেম্বর থেকে এ পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত স্কুলগুলো। বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে ৪ স্তরে। এদিকে ২০২৬ সালের জন্য প্রাথমিকের শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনার কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়। তবে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, এই শিক্ষাক্রম বাতিল করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
জানা গেছে, এ অবস্থায় শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি বার্ষিক পরীক্ষাও হবে। ফলাফলে থাকবে ৪টি স্তর। এর মধ্যে ৩৯ নম্বর পর্যন্ত ‘সহায়তা প্রয়োজন’ স্তর; ৪০ থেকে ৫৯ পর্যন্ত সন্তোষজনক; ৬০ থেকে ৭৯ পর্যন্ত উত্তম এবং ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পর্যন্ত অতি উত্তম স্তর।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রয়োজনীয় পরিমার্জন সাপেক্ষে আমরা ২০১০ এবং ১১ এর জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাচ্ছি, সে জন্য এটির সাথে মিল রেখে আমরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই বছর আমরা এটি কার্যকর করব না, কারণ আমাদের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাণ্ডুলিপি আরও পরিমার্জন হবে।
এনএম/এমএ