রাজধানীর খ্যাতনামা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে সহোদর-সহোদরা ও জমজ ভাই-বোনদের ১০০% (শতভাগ) ভর্তি নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। ভর্তি জটিলতা, হয়রানি ও আর্থিক বিষয় বিবেচায় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ভাই-বোন কোটা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শতভাগ করার দাবি জানান তারা।

গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন আইডিয়াল স্কুলের অভিভাবকরা। তাদের পক্ষে অভিভাবক শাহাদাৎ ঢালী স্মারকলিপিতে জানান, আমরা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিল, মুগদা ও বনশ্রী শাখার অভিভাবকরা  ঐতিহ্যবাহী ও খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সহোদর-সহোদরা ও জমজ ভাই-বোনদের ১০০% (শতভাগ) ভর্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।

যুক্তি হিসেবে তারা জানান, জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এ শহরে প্রতিনিয়ত অসহনীয় যানজট, মানুষের ব্যস্ততম কর্মজীবন, অভিভাবকদের এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে যাতায়াত, অর্থনৈতিক ব্যয়, উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবের কারণে অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে পারছেন না। এই অবস্থায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহোদর-সহোদরা ও জমজ ভাই-বোনদের অন্য স্কুলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া অভিভাবকদের জন্য পীড়াদায়ক ও কষ্টকর বিষয়। এই সার্বিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও পরীক্ষায় আশানুরূপ ভালো ফলাফল করতে না পারার কারণে অভিভাবকেরা হতাশাগ্রস্ত।

আইডিয়াল স্কুলে লেখাপড়ায় অতীত ও চলমান সুনাম বৃদ্ধির প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সহোদর-সহদোরা ও জমজ ভাই-বোনদের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১০০ ভাগ ভর্তি গ্রহণের জন্য আপনার একান্ত আন্তরিক সহযোগিতা চাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, তাদের দাবির চিঠি আমরা পেয়েছি। গভর্নিং বডির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ বেসরকারি স্কুল ভর্তি নীতিমালায় ১৪ নম্বর ধারা বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে সেসব সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোনের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। কোনো দম্পত্তির সর্বোচ্চ ২ সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে এই ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে।

এনএম/এমএ