প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমনা পরীক্ষার ফলাফল। এতে রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে ৩ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩ হাজার ২৬৩ জন পাস করেছে। সে হিসাবে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯৯.৯৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬১৮ জন শিক্ষার্থী। 

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ থেকে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নটরডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এরমধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭৫৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৫২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৬ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ৪১২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০২ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩০০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০৯৭ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪০ জন।

এর আগে, বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে হয়েছে। এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ফলাফলের সারসংক্ষেপ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

তিনি জানান, এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ শিক্ষার্থী। আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে নয় হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থী। ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্সে পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৯২২ শিক্ষার্থী।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।

ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, কুমিল্লায় পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৬২ দশমিক ৮২ ও যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বলে জানা গেছে।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

সবার অটোপাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীর ফলাফল অবমূল্যায়ন করা হবে
সূচি অনুযায়ী—মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়।

আরএইচটি/এসএম