দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন কারিকুলামের বই পড়ানো হলেও ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। বার্ষিক পরীক্ষার খসড়া এ প্রশ্নকাঠামো এবং সিলেবাস সম্পর্কে মতামত ও অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর দু-একদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।

তিনি আজ বিকেলে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে জানান, নতুন কারিকুলামে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের পরিবর্তে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে এর আগের কারিকুলামের নিয়মে। তবে পাঠ্যবই থাকবে নতুন কারিকুলামেই। দুই কারিকুলামের সমন্বয়ে ডিসেম্বরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো ও সিলেবাস কেমন হবে, তা প্রস্তুত করছে এনসিটিবি।

তিনি বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার খসড়া এ প্রশ্নকাঠামো এবং সিলেবাস সম্পর্কে মতামত ও অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর দু-একদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে।

চেয়ারম্যান জানান, নতুন যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পর্যায়ে তা ছিল অভিজ্ঞতানির্ভর। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগের শিক্ষাক্রমের আদলের শিক্ষায় ফিরে গিয়ে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষার বইয়ের কোন কোন অংশ থেকে প্রচলিত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তা খুঁজে বের করে আমরা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস প্রস্তুত করেছি।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আদলে। প্রতিটি বিষয়ে ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্নের সমন্বয়ে প্রশ্নকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষক ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সেমিনার করে সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামোর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো প্রকাশ করে স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এনএম/এনএফ