চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে এই ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবার পুরো এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৩টি পত্রের মধ্যে সাতটি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা হওয়া বিষয়গুলোর মূল্যায়ণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাতিল হওয়া বিষয়গুলো ম্যাপিং করার পদ্ধতিসহ একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন হওয়ার পরপরই পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ ফল প্রকাশের প্রস্তুতি রয়েছে।

জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।  

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকভাবেই হয়েছে। কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। মাঝখানে সরকার পরিবর্তনের মতো বড় ঘটনা ঘটে গেছে।

বিভিন্ন থানায় হামলার কারণে সেখানকার প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সম্প্রতি নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে একদল শিক্ষার্থী স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে এসব পরিক্ষা বাতিল করা হয়।

চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।

প্রসঙ্গত, একজন শিক্ষার্থীর পূর্বের পরীক্ষা যেমন এসএসসি, জেএসসির ফলাফলের ওপর সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়। ম্যাপিং ফলাফল তৈরি করতে হলে মূলত পূর্বের বিষয়ভিত্তিক ফল দেখা হয়।

এনএম/এমজে