একজন মানুষকে আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে উঠতে হলে অন্য ভাষা চর্চা করার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, মানুষকে শুধু স্বাক্ষর নয় দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেন সে কর্মজীবনে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। সাক্ষরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব চেঞ্জ হয়ে যায়।

রোববার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। বাচ্চাদের যদি বহু ভাষাভাষী করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প  গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি একটি ভালো প্রকল্প। এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যদি এতে আশানুরূপ ফলাফল হয়, তবে চেষ্টা থাকবে সেটিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া।

তিনি বলেন, ভাষা ছাড়া অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারলে তাদের ডেভেলপ হতে সমস্যা হয়। আমরা শুধু দেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি, সবদিক দিয়ে বিশ্বটাই একটি একীভূত বিষয় হয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, মানুষ মানুষ হয়ে ওঠে তার ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে। সভ্যতার অন্যতম আবিষ্কার ‘লিপি’ আবিষ্কার। ‘লিপি’ আবিষ্কার সভ্যতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এ বিষয়টি মানুষকে আরেকটি স্তরে নিয়ে গেছে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রতিনিধি সুসান ভাইজ প্রমুখ।

এনএম/এমজে