গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ চারজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। পাঁচজনের মধ্যে বর্তমানে একজন সদস্য পদত্যাগের বাকি রয়েছেন। তিনিও পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

রোববার একই দিনে ইউজিসির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন দুইজন। প্রথমে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। পরে পদত্যাগপত্র জমা দেন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। এর আগে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন অধ্যাপক হাসিনা খান। আর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউজিসিতে আসেননি সাবেক ভূমিমন্ত্রীর পুত্র বিশ্বজিৎ চন্দ্র। আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে নিয়োগ পাওয়া পাঁচ সদস্যের মধ্যে পদত্যাগের বাকি রয়েছে একজন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন। তার আগে গত ১১ আগস্ট  ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লার ভাই কাজী কাজী শহীদুল্লাহ।

এদিকে ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের এক মাস পর একই পদে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। তবে সদস্য হিসেবে এখনও কাউকে নিয়োগ দেয়নি সরকার।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি বরাবর জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন উল্লেখ করে বলেন, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তিত হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। যে কোনো নতুন সরকারের দেশ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভিন্ন চিন্তা-ভাবনা থাকবে, আর এটাই স্বাভাবিক। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।

এদিকে অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না বিধায় আমি অদ্য ৮ সেপ্টেম্বর উল্লিখিত সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমি আমার পূর্বের কর্মস্থল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপকের (গ্রেড-১) মূল পদে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পুনঃযোগদান করব।

এনএম/এসকেডি