শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মশিউর রহমান। এরপর থেকে এ পদটি ফাঁকাই রয়ে গেছে। এদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে চাকরিুচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পূর্ণবহালের দাবি আটকে গেছে ভিসির শূন্যতার কারণে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন ২০১১ সালে চাকরিচ্যুত আট শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বুধবার (২১ আগস্ট) গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের চাকরিচ্যুত এবং চাকুরিরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে এক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতিত্ব করেন চাকরি পুনরুদ্ধার কমিটির আহবায়ক সাবেক উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল আমিন। তিনি এ দাবি জানান।

সম্প্রীতি সমাবেশে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়, মহামান্য আদালতকে বিভ্রান্ত করে চাকরিচ্যুত করা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে নতুন-পুরোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আজকের এই সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সবাই মত পোষণ করেন। ভবিষ্যতে মতানৈক্য পরিহার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। চাকরিচ্যুদের ১৩ বছরের অবর্ননীয় দুঃখ -দুর্দশার কথা উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধাধি নিশ্চিত করে চাকরিতে পুনর্বহালের জোর দাবি জানানো হয়।

ভিসি নিয়োগ হওয়ার পরে জরুরি সিন্ডিকেট আহ্বান করে চাকরিতে পুনর্বহালের আইনি পদক্ষেপসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়।

মো. তারিকুল ইসলাম এবং ওয়াহিদুজ্জামান নান্নুর পরিচলানায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্বদ্যিালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মো. এনামুল করিম, সাবেক উপ-রেজিস্ট্রার মো. নাজিম উদ্দিন শিশিম, চাকরি পুনরুদ্ধার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ খন্দকার, চাকরি পুনরুদ্ধার কমিটির সদস্য সচিব মিয়া হোসেন রানা, মিয়া আল হারুন, আব্দুল আজিজ, পারভেজ সাজ্জাদ, মোসলেম উদ্দিন, নাছির আহম্মদ রুবেল, মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ। 

এনএম/কেএ