পাঁচ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত ঢাকা বোর্ডের ১৪ পরীক্ষক
গত জুন মাসে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়নে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার দায়ে ১৪ জন পরীক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আগামী পাঁচ বছর তারা এসএসসিসহ সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারবেন না।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কালো তালিকাভুক্ত শিক্ষকরা ঢাকা বোর্ডের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক ও নিরীক্ষক হতে পারবেন না। তবে এ সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনাসহ অন্যান্য সব দায়িত্ব পালনে তাদের বাধা নেই।
এর আগে ২০১৯ সালে টানা তিন বছর ধারাবাহিক গাফিলতির কারণে ১ হাজার ২৬ পরীক্ষককে শাস্তির আওতায় আনে শিক্ষাবোর্ড। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বোর্ডের আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযুক্ত বেশিরভাগ পরীক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত, কাউকে সারা জীবনের জন্য কোনো বোর্ডের পরীক্ষক হতে না পারার মতো শাস্তি দেওয়া হয়। তবে যেসব পরীক্ষক খাতা মূল্যায়নে কেলেঙ্কারি বা ক্রাইমে যুক্ত হন, তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ এবং চাকরিচ্যুতির নজির রয়েছে। এরপর বিভিন্ন সময় তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হলেও সংখ্যাটা খুবই কম।
কালো তালিকাভুক্ত ১৪ পরীক্ষক
ফরিদপুরের আব্দুল কাদের খান, নারায়ণগঞ্জের মো. ফজলুল হক, কেরানীগঞ্জের মো. আবুল ইহসান, টাঙ্গাইলের অনিমেষ মন্ডল, নরসিংদীর মজিবুর রহমান, কামরুল হাসান, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, রাজবাড়ীর আরিফুল ইসলাম, মোছা. জান্নাতুন নেছা, রুপা বেগম, মুন্সিগঞ্জের ইয়াসমিন আক্তার, গোপালগঞ্জের মৃণাল কান্তি সরকার, গাজীপুরের মোমতাজ উদ্দিন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফল পুনর্নিরীক্ষণের সময় যেসব উত্তরপত্র পুনরায় যাচাই করা হয়, তাতে মূলত নম্বর গণনা, কোনো উত্তরের নম্বর বাদ পড়েছে কি না, এসব বিষয় দেখা হয়। তাতে যেসব পরীক্ষকের মূল্যায়ন করা উত্তরপত্রে ভুল পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ঢাকা বোর্ড।
গত ১১ জুন ঢাকা বোর্ডে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ফেল থেকে পাস করেন ১২৭ জন এবং নতুন করে ৩৪৪ জন জিপিএ-৫ পান।
এনএম/জেডএস