ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সকল ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায় না হলে ২৩ মে দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন এবং ৩০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতিটির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— কোডবিহীন মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ডে কোড নাম্বারে অন্তর্ভুক্ত করা; মাদ্রাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে একজন আলিম শিক্ষকের পরিবর্তে এইচএসসি পাস একজন শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত করা; অফিস সহায়ক নিয়োগ প্রদান; মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা; মাদরাসায় আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ করা এবং মাদরাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালের একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন পাঁচশ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হতে হতে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সরকারের সকল কাজে অংশগ্রহণ করে ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকরা। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান কিন্তু ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পান না। তবুও তারা শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৫১৯টি মাদরাসা শিক্ষকরা সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা ৩৭ বছর বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ সভাপতি মাওলানা মো. শাহজাহান, মাওলানা এবিএম আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম-মহাসচিব আবু মুসা ভূঁইয়া, বশির উল্লাহ আতাহারী প্রমুখ।
এমএইচএন/এইচকে