চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে আধুনিক যুগের প্রয়োজন বিবেচনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে পারলে তারা আমাদের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষা এখন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ শিক্ষা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এটা শুধু দেশে না বিদেশেও। 

শনিবার (১৩ জুলাই) সাতকানিয়া উপজেলার এ কে বি সি ঘোষ ইনস্টিটিউট প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে চবি উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ায় এদিন তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর তার পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তির সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা। স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সোপান। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

এ কে বি সি ঘোষ ইনস্টিটিউট প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে  ও যুগ্ম সদস্য সচিব প্রসুন কুমার দাশের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের সদস্য সচিব এ এফ এম আখতারুজ্জামান কায়সার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল মনসুর, অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব, ইনস্টিটিউট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মিজানুর রহমান মারুফ, প্রধান শিক্ষক মাহাফুজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আবুল বশর, ডা. ইমরান উশ শহীদ, দোলন বিশ্বাস, কাজী আাসাদুজ্জামান, বিজয় নন্দী সাগর, এনামুল হক মিঠু ও আরমান হোসেন। 

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ বুদ্ধিজীবী রায় সাহেব কামিনী কুমার ঘোষের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এমআর/এমএ