অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।  

তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে বলতে চাই, ফাঁদে যেন আমরা পা না দেই। প্রথমত এটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরে নির্বাহী বিভাগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্লেক্সিবিলিটি (নমনীয়তা) থাকে। এ জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। 

রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একের পর এক কর্মসূচি দিচ্ছেন, সমাধানের পথ কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, অনেকেই দেশের বাইরে অপপ্রচার করেন, বাংলাদেশে নাকি সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। এটা কি প্রমাণ করে না, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে, বাক স্বাধীনতা চর্চার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার কারো উপরেই কোনো বিধি নিষেধ আরোপ করে না।

তিনি বলেন, আন্দোলন হচ্ছে, সেটাকে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হচ্ছে সড়ক অবরোধ বা ব্লকেড কর্মসূচির মাধ্যমে। কিন্তু আইনের শাসনের প্রতি আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। এটা যেহেতু উচ্চ আদালতে এখনো বিচারাধীন, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রায় আমাদের সর্বোচ্চ আদালত থেকে না এলে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল হবে। যে কোনো ব্যক্তি এ বিষয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হয়তো মন্তব্য করতে পারেন কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। 

তিনি আরও বলেন, যে বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে, সেটি সমাধান হওয়ার আগেই হঠাৎ রাস্তায় নেমে এলাম, সব ব্লক করে দিলাম, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে কিনা? কারণ স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করার জন্য অনেকেই অনেকভাবে অনেক জায়গায় উসকানি দেয়। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য এজেডএম শফিউদ্দিন শামীম, ডিআরইউয়ের সভাপতি সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ।

/এমএইচএন/এমএসএ